জীবন, প্রেম, এবং ভক্তি সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তি – শ্রেষ্ঠ, বিখ্যাত, বাণী

Paramita Bej

জীবন, প্রেম, এবং ভক্তি সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তি – শ্রেষ্ঠ, বিখ্যাত, বাণী

প্রেমের ভয় না থাকলে, রস নিবিড় হয়না   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিচ্ছেদের দুঃখে প্রেমের বেগ বাড়িয়া উঠে  — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ভালোবাসা কথাটা বিবাহ কথার চেয়ে আরো বেশি জ্যান্ত  — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কী পাইনি তারই হিসাব মেলাতে, মন মোর নহে রাজি   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নারীর প্রেমে মিলনের গান বাজে, পুরুষের প্রেমে বিচ্ছেদের বেদনা   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তুমি যদি না দেখা দাও, কর আমায় হেলা, কেমন করে কাটে আমার এমন বাদল-বেলা।  — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ, কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ, কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না, শুধু সুখ চলে যায়   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জ্ঞান পেলে নিজেকে জ্ঞানী বলে গর্ব হয় কিন্তু প্রেম পেলে নিজেকে অধম বলে জেনেও আনন্দ হয়।    — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ক্ষমাই যদি করতে না পারো, তবে তাকে ভালোবাসো কেন?    — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সোহাগের সঙ্গে রাগ না মিশিলে ভালবাসার স্বাদ থাকেনা — তরকারীতে লঙ্কামরিচের মত ।    — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ফাগুনের নবীন আনন্দে গানখানি গাঁথিলাম ছন্দে; দিল তারে বনবীথি কোকিলের কলগীতি, ভরি দিল বকুলের গন্ধে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমার মৃত্যুকালে তোমাকে যে- কথাটা বলিব মনে করিয়াছিলাম, আজ তাহা বলিতে ইচ্ছা করিতেছে। আজ মনে হইতেছে, তুমি আমাকে যত শাস্তি দাও- না কেন আমি বহন করিতে পারিব   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ক্ষুদ্রকে লইয়াই বৃহৎ, সীমাকে লইয়াই অসীম, প্রেমকে লইয়াই মুক্তি। প্রেমের আলো যখনই পাই তখনই যেখানে চোখ মেলি সেখানেই দেখি, সীমার মধ্যে সীমা নাই   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পুরুষের বুদ্ধি খড়গের মতো; শান বেশি না দিলেও কেবল ভারেই অনেক কাজ করতে পারে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যে খ্যাতির সম্বল অল্প তার সমারোহ যতই বেশি হয়, ততই তার দেউলে হওয়া দ্রুত ঘটে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সংসারে সাধু-অসাধুর মধ্যে প্রভেদ এই যে, সাধুরা কপট আর অসাধুরা অকপট   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মনে যখন একটা প্রবল আনন্দ একটা বৃহৎ প্রেমের সঞ্চার হয় তখন মানুষ মনে করে, ‘আমি সব পারি’। তখন হঠাৎ আত্মবিসর্জনের ইচ্ছা বলবতী হইয়া ওঠে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সামনে একটা পাথর পড়লে যে লোক ঘুরে না গিয়ে সেটা ডিঙ্গিয়ে পথ সংক্ষেপ করতে চায় — বিলম্ব তারই অদৃষ্টে আছে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যায় যদি লুপ্ত হয়ে থাকে শুধু থাক এক বিন্দু নয়নের জল কালের কপোল তলে শুভ্র সমুজ্জ্বল এ তাজমহল   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অপর ব্যাক্তির কোলে পিঠে চড়িয়া অগ্রসর হওয়ার কোন মাহাত্ম্য নাই — কারণ চলিবার শক্তিলাভই যথার্থ লাভ, অগ্রসর হওয়া মাত্র লাভ নহে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মানুষ পণ করে, পণ ভেঙ্গে ফেলে হাঁফ ছাড়ার জন্য   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সংগীত আর কিছু নয়-সর্বোৎকৃষ্ট উপায়ে কবিতা পাঠ করা।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সময়ের সমুদ্রে আছি কিন্তু এক মুহুর্তে সময় নেই   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শিমুল কাঠই হোক বা বকুল কাঠই হোক, আগুনের চেহারাটা একই   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অক্ষমের লোভ, আলাদিনের প্রদীপের গুজব শুনলেই লাফিয়ে ওঠে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আগুনকে যে ভয় পায়, সে আগুনকে ব্যবহার করতে পারেনা   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গোলাপ যেমন একটা বিশেষ জাতের ফুল, বন্ধু তেমনই একটা বিশেষ জাতের মানুষ   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বন্ধুত্বের গভীরতা পরিচয়ের দৈর্ঘ্যতার উপর নির্ভর করেনা   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সাত কোটি বাঙালীরে, হে মুগ্ধ জননী রেখেছ বাঙালী করে মানুষ করোনি   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বন্ধন আছে মাটির কণায়, বিচ্ছেদ আছে বালির কণায়   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বোবার শত্রূ নেই একথা যে বলেছিলো, সে নিশ্চই অবিবাহিত ছিলো।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রসন্ন থাকা অনেক সরল, কিন্তু সরল হওয়া ভীষন কঠিন   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সঙ্গীত, দুটো আত্মার মধ্যেকার দূরত্বতাকে পূরণ করে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অপরিচয় হইতে পরিচয়ের পথ অতি দীর্ঘ।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ধর্ম যারা সম্পূর্ণ উপলব্ধি না করিয়া প্রচার করিতে চেষ্টা করে তহারা ক্রমশই ধর্মকে জীবন হইতে দূরে ঠেলিয়া থাকে। ইহারা ধর্মকে বিশেষ গন্ডি আঁকিয়া একটা বিশেষ সীমানার মধ্যে আবদ্ধ করে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ভয়ের তাড়া খেলেই ধর্মের মূঢ়তার পিছনে মানুষ লুকাতে চেষ্টা করে    — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ছোট ছোট মুখ জানে না ধরার দুখ, হেসে আসে তোমাদের দ্বারে। নবীণ নয়ন তুলি কৌতুকেতে দুলি দুলি চেয়ে চেয়ে দেখে চারিধারে।    — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
চোখ কতটুকুই দেখে কান কতটুকুই শোনো স্পর্শ কতটুকুই বোধ করে। কিন্তু মন এই আপন ক্ষুদ্রতাকে কেবলই ছড়িয়ে যাচ্ছে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যৌবনের শেষে শুভ্র শৎরকালের ন্যায় একটি গভীর প্রশান্ত প্রগাঢ় সুন্দর বয়স আসে যখন জীবনের শেষে ফল ফলিবার এবং শস্য পাকিবার সময়   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দীর্ঘ আয়ু দীর্ঘ অভিশাপ বিচ্ছেদের তাপ নাশে সেই বড়ো তাপ   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সে আমার সম্পত্তি নয়, সে আমার সম্পদ   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

যথার্থ অধিকার থেকে মানুষ নিজের দোষে ভ্রষ্ট হয়।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মন দিয়ে মন বোঝা যায়, গভীর বিশ্বাস শুধু নীরব প্রানের কথা টেনে নিয়ে আসে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পুত্রের মধ্যেই পিতা নিজেকে উপলব্ধি করে, সেই উপলব্ধিতেই আনন্দ   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অধিকার চেয়ে পাওয়া যায়না, কর্মের দ্বারা অধিকার সৃষ্টি করতে হয়   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কেউ বা মরে কথা বলে, আবার কেউ বা মরে কথা না বলে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিবেচনা করবার বয়েস ভালোবাসার বয়েসের উলটো পিঠে ।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যৌবনই ভোগের কাল বার্ধক্য স্মৃতিচারণের   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নিজের অজ্ঞতা সম্বন্ধে অজ্ঞানতার মতো অজ্ঞান আর তো কিছুই নেই   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তবে ঘৃণা তারে যেস তৃণসম দহে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নাম মানুষকে বড় করে না, মানুষই নাম কে জাগিয়ে তোলে।    — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আমরা বন্ধুর কাছ থেকে মমতা চাই, সমবেদনা চাই, সাহায্য চাই ও সেই জন্যই বন্ধুকে চাই   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আনন্দকে ভাগ করলে দুটো জিনিস পাওয়া যায়, একটা হচ্ছে জ্ঞান আর অপর হচ্ছে প্রেম   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ভুল করিবার অধিকার যাহার নাই, সত্যকে আবিষ্কার করিবার অধিকারও সে পায় নাই। পরের শত শত ভুল জড়ভাবে মুখস্থ করিয়া রাখার চেয়ে সচেষ্টভাবে নিজে ভুল করা অনেক ভালো। কারণ,যে চেষ্টা ভুল করায় সেই চেষ্টাই ভুলকে লঙ্ঘন করাইয়া লইয়া যায়।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বাঙালির বুদ্ধি সহজেই অত্যন্ত সূক্ষ্ম। তাহার দ্বারা চুল চেরা যায়, কিন্তু বড়ো বড়ো গ্রন্থে ছেদন করা যায় না। তাহা সুনিপুণ, কিন্তু সবল নহে। আমাদের বুদ্ধি ঘোড়দৌড়ের ঘোড়ার মতো অতিসূক্ষ্ম তর্কের বাহাদুরিতে ছোটে ভালো, কিন্তু কর্মের পথে গাড়ি লইয়া চলে না।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মানুষের মধ্যে দ্বিজত্ব আছে ; মানুষ একবার জন্মায় গর্ভের মধ্যে, আবার জন্মায় মুক্ত পৃথিবীতে। মানুষের এক জন্ম আপনাকে নিয়ে, আর-এক জন্ম সকলকে নিয়ে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যাহাদের স্বাভাবিক ভদ্রতা নাই তাহারা ভদ্র হইতে ইচ্ছা করিলে আনুষ্ঠানিক ভদ্রতার কিছু বাড়াবাড়ি করিয়া থাকে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রেমের দুই বিরুদ্ধ পার আছে। এক পারে চোরাবালি, আর-এক পারে ফসলের খেত। এক পারে ভালোলাগার দৌরাত্ম, অন্য পারে ভালোবাসার আমন্ত্রণ।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ফাঁকি তো বরাবর চলে না। দাম দিতেই হবে। নইলে বিধাতা সহ্য করেন না- দীর্ঘকাল ধরে প্রতিদিন সৌভাগ্যের ঋণ শোধ করতে হয়, তবেই স্বত্ব ধ্রুব হয়ে ওঠে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমাদের চন্দ্রের যা কলঙ্ক সেটা কেবল মুখের উপরে , তার জ্যোৎস্নায় কোনো দাগ পড়ে না।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রমণী অনর্থক হাসে, তাহা দেখিয়া অনেক পুরুষ অনর্থক কাঁদে, অনেক পুরুষ ছন্দ মিলাইতে বসে, অনেক পুরুষ গলায় দড়ি দিয়ে মরে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিনয় একটা অভাবাত্মক গুণ। আমার যে অহংকারের বিষয় আছে এইটে না মনে থাকাই বিনয়, আমাকে যে বিনয় প্রকাশ করিতে হইবে এইটে মনে থাকার নাম বিনয় নহে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বাঙালির বুদ্ধি সহজেই অত্যন্ত সূক্ষ্ম। তাহার দ্বারা চুল চেরা যায়, কিন্তু বড়ো বড়ো গ্রন্থে ছেদন করা যায় না। তাহা সুনিপুণ, কিন্তু সবল নহে। আমাদের বুদ্ধি ঘোড়দৌড়ের ঘোড়ার মতো অতিসূক্ষ্ম তর্কের বাহাদুরিতে ছোটে ভালো, কিন্তু কর্মের পথে গাড়ি লইয়া চলে না।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বিবেচনা করবার বয়েস ভালোবাসার বয়েসের উলটো পিঠে ।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শিমুল কাঠই হোক আর বকুল কাঠই হোক, আগুনের চেহারাটা একই ।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নিন্দা করতে গেলে বাইরে থেকে করা যায়, কিন্তু বিচার করতে গেলে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যদি আপনি সমস্ত ভুলের জন্য দরজা বন্ধ করে দেন, তাহলে সত্য বাইরেই থেকে যাবে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কখনো বা চাঁদের আলোয়, কখনো বসন্ত সমীরণে, সেই ত্রিভুবনজয়ী অপার রহস্যময়ী আনন্দ মূর্তিখানি জেগে ওঠে মনে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রত্যেকটা মন আরেকটা মনকে খুঁজছে নিজের ভাবনার ভার নামিয়ে দেওয়ার জন্য, নিজের মনের ভাবকে অন্যের মনে ভাবিয়ে তোলার জন্য   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

অপর ব্যক্তির কোলে-পিঠে চোড়ে, এগিয়ে যাওয়ায় কোনো মাহাত্ম্য নেই | কারণ চলার শক্তিলাভই যথার্থ লাভ, এগিয়ে যাওয়া মাত্র লাভ না   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অনুগ্রহ দুঃখ করে, দিই নাহি পাই ; করুনা কহেন, আমি দিই নাহি চাই   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অতীতকাল যত বড় কালই হোক, নিজের সম্বন্ধে বর্তমান কালের একটা স্পর্ধা থাকা উচিত । মনে থাকা উচিত, তার মধ্যে জয় করার শক্তি আছে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শুধু তর্ক করা মস্তিস্ক, একটা একধরনের ছুরি যেটার মধ্যে শুধু ধারই আছে । এটার ব্যবহার, ব্যবহারকারীকেই ঘায়েল করে দেয়   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আস্থা হলো এমন ধরনের পাখি, যে ভোরের অন্ধকারেও প্রকাশকে অনুভব করায়   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উচ্চ শিক্ষা হলো সেটাই, যা আমাদের শুধু জ্ঞানই দেয়না বরং আমাদের জীবনে সদভাবও নিয়ে আসে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

কোনো শিশুর শিক্ষাকে নিজের জ্ঞান অবধি সীমাবদ্ধ রাখবেন না, কারণ সে অন্য সময় জন্ম নিয়েছে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঠিক সময়ে ঠিক কাজ করিতে কাহারও মনে পড়ে না, তাহার পরে বেঠিক সময়ে বেঠিক বাসনা লইয়া অস্থির হইয়া মরে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পৃথিবীতে সকলের চেয়ে বড়ো জিনিস আমরা যাহা কিছু পাই তাহা বিনামূল্যেই পাইয়া থাকি , তাহার জন্য দরদস্তুর করিতে হয় না । মূল্য চুকাইতে হয় না বলিয়াই জিনিসটা যে কত বড়ো তাহা আমরা সম্পূর্ণ বুঝিতেই পারি না ।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমার এই আমির মধ্যে যদি ব্যর্থতা থাকে তবে অন্য কোনো আমিত্ব লাভ করিয়া তাহা হইতে নিষ্কৃতি পাইব না।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রথমে যেটি একটি উদ্দেশ্যের উপায় মাত্র থাকে, মানুষে ক্রমে সেই উপায়টিকে উদ্দেশ্য করিয়া তুলে। যেমন টাকা নানাপ্রকার সুখ পাইবার উপায় মাত্র, কিন্তু অনেকে সমস্ত সুখ বিসর্জন দিয়া টাকা পাইতে চান।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমাদের আত্মার মধ্যে অখণ্ড ঐক্যের আদর্শ আছে। আমরা যা-কিছু জানি কোনো-না কোনো ঐক্যসূত্রে জানি। কোনো জানা আপনাতেই একান্ত স্বতন্ত্র নয়। যেখানে দেখি আমাদের পাওয়া বা জানার অস্পষ্টতা সেখানে জানি, মিলিয়ে জানতে না পারাই তার কারণ।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নিজের গুণহীনতার বিষয়ে অনভিজ্ঞ এমন নির্গুণ শতকরা নিরেনব্বই জন, কিন্তু নিজের গুণ একেবারে জানে না এমন গুণী কোথায়?   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কাহারও হাসি ছুরির মতো কাটে, কাহারও হাসি অশ্রুজলের মতো।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মহাপুরুষেরা ধর্মসম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠা করিয়া যান আর আমরা তাহার মধ্য হইতে সম্প্রদায়টাই লই, ধর্মটা লই না।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা, বিপদে আমি না করি যেন ভয়   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রত্যেক শিশু ঈশ্বরের থেকে এটা বার্তা নিয়ে আসে যে, এখনো তিনি মানুষের উপর হতাশ হননি   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
চাঁদ নিজের আলো সম্পূর্ণভাবে আকাশে প্রকাশিত করে, কিন্তু নিজের কলঙ্ক নিজের কাছেই রাখে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যখন আমি নিজের উপর হাসি, তখন আমার নিজের মনের বোঝা হ্রাস পায়   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দেশের যেই আত্মঅভিমান আমাদের শক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, সেটা প্রশংসনীয় | কিন্তু যেই আত্মঅভিমান আমাদের পিছিয়ে দেয়, সেটা আমাদের শুধু খুঁটিতে বেঁধে রাখে, এটা ধীক্কার জনক   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বাসনে জমে থাকা জল, সর্বদা চকচক করে কিন্তু সমুদ্রের জল সর্বদা ঘন রঙের (অস্পষ্ট) হয় | লঘু সত্যের শব্দ সর্বদা স্পষ্ট হয়ে থাকে, মহান সত্য সর্বদা মৌন অবস্থায় থাকে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মন্দিরের গম্ভীর হতাশার থেকে বাইরে পালিয়ে, বাচ্চারা ধুলোয় গিয়ে বসে | ভগবান তাদের খেলা দেখেন এবং পূজারীকে ভুলে যান   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মনুষ্য জীবন একটা নদীর মতো, যেটা তার প্রবাহের দ্বারা নতুন দিশায় পথ বানিয়ে নেয়   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মাটির বন্ধন থেকে মুক্তি, গাছের ক্ষেত্রে কখনই স্বাধীনতা হয়না   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমাদের মন পুঁথিরস্তূপে আর শরীর আসবাবপত্রের দ্বারা ঢেকে গেছে | যেই কারণে আমাদের আত্মাকে আমরা দেখতে পাইনা   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রত্যেকটা কঠিনতা, যার থেকে আপনি মুখ ফিরিয়ে নেন | একটা ভূতের মতো হয়ে তা আপনার ঘুমে বাঁধা সৃষ্টি করবে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মন দিয়ে মন বোঝা যায়, গভীর বিশ্বাস শুধু নীরব প্রাণের কথা টেনে নিয়ে আসে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তুমি যদি না দেখা দাও, কর আমায় হেলা, কেমন করে কাটে আমার এমন বাদল-বেলা।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সত্যকার আদর্শ লোক সংসারে পাওয়া দুঃসাধ্য। ভালবাসার একটি মহান্‌ গুণ এই যে, সে প্রত্যেককে নিদেন এক জনের নিকটেও আদর্শ করিয়া তুলে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আছে দু:খ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে। তবুও শান্তি , তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে…   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কাব্যরস আস্বাদনে পাঠকদের অত্যন্ত বেশি যত্নে পথ দেখিয়ে চলা স্বাস্থ্যকর নহে। নিজে নিজে সন্ধান করা ও আবিষ্কার করা সত্যকার আনন্দ।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বসন্তকালের ঝড়ে যখন রাশি রাশি আমের বোল ঝরিয়া পড়ে তখন সে বোলগুলি কেবলই মাটি হয়, তাহা হইতে গাছ বাহির হইবার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। তেমনি দেখা গেছে, সংসারে উপদেশের বোল অজস্র বৃষ্টি হয় বটে, কিন্তু অনেক স্থলেই তাহা হইতে অঙ্কুর বাহির হয় না, সমস্ত মাটি হইতে থাকে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমার না হলেও চলত, কেবল আমি ইচ্ছা করে করছি এই যে মুক্ত কর্তৃত্বের ও মুক্ত ভোক্তৃত্বের অভিমান, যে অভিমান বিশ্বস্রষ্টার এবং বিশ্বরাজ্যেশ্বরের, সেই অভিমানই মানুষের সাহিত্যে এবং আর্টে। এই রাজ্যটি মুক্ত মানুষের রাজ্য, এখানে জীবনযাত্রার দায়িত্ব নেই।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
লোকের যখন ধর্মজ্ঞান সহসা বিশেষ প্রবল হইয়া উঠে, তখন কোন যুক্তিই তাহার কাছে খাটে না।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অহংটাই পৃথিবীর মধ্যে সকলের চেয়ে বড়ো চোর । সে স্বয়ং ভগবানের সামগ্রীও নিজের বলিয়া দাবি করিতে কুণ্ঠিত হয় না ।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রমণীর মন সহস্র বর্ষেরই, সখা, সাধনার ধন।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমরা যখন মিথ্যাপথে চলি, তখন আমরা দুর্বল হইয়া পড়ি এইজন্য। তখন আমরা আত্মহত্যা করি। তখন আমরা একেবারে আমাদের মূলে আঘাত করি। আমরা যাহার উপরে দাঁড়াইয়া আছি তাহাকেই সন্দেহ করিয়া বসি।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ঘটিবাটি প্রভৃতি দরকারি জিনিসকেও মানুষ সুন্দর করে গড়ে তুলতে চায়; কারণ ঘটিবাটির উপযোগিতা মানুষের প্রয়োজনের পরিচয় মাত্র। কিন্তু তার সৌন্দর্যে মানুষের নিজেরই রুচির, নিজেরই আনন্দের পরিচয়। ঘটিবাটির উপযোগিতা বলছে, মানুষের দায় আছে; ঘটিবাটির সৌন্দর্য বলছে, মানুষের আত্মা আছে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নবসৃষ্টির যত দোষ যত ত্রুটিই থাকুক-না কেন, মুক্তি কেবল ঐ কাঁটাপথেই। বাঁধা সড়ক গোলাপদলের পাপড়ি দিয়ে মোড়া হলেও সে পথ আমাদের পৌঁছিয়ে দেবে শেষটায় চোরা গলিতেই।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সত্য যে কঠিন ,কঠিনেরে ভালোবাসিলাম , সে কখনো করে না বঞ্চনা ।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অসীম সে চাহে সীমার নিবিড় সঙ্গ সীমা হতে চায় অসীমের মাঝে হারা   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আনন্দকে ভাগ করলে দুটি জিনিস পাওয়া যায়; একটি হচ্ছে জ্ঞান এবং অপরটি হচ্ছে প্রেম   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রমণীর মন সহস্রবর্ষেরই, সখা, সাধনার ধন।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমার মৃত্যুকালে তোমাকে যে- কথাটা বলিব মনে করিয়াছিলাম, আজ তাহা বলিতে ইচ্ছা করিতেছে। আজ মনে হইতেছে, তুমি আমাকে যত শাস্তি দাও- না কেন আমি বহন করিতে পারিব।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমরা বন্ধুর কাছ থেকে মমতা চাই, সমবেদনা চাই, সাহায্য চাই ও সেই জন্যই বন্ধুকে চাই   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গোলাপ যেমন একটি বিশেষ জাতের ফুল, বন্ধু তেমনি একটি বিশেষ জাতের মানুষ   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সমাজ সংসার মিছে সব, মিছে এ জীবনের কলরব। কেবলই আঁখি দিয়ে আঁখির সুধা পিয়ে হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভব — আঁধারে মিশে গেছে আর সব।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পরস্পর পরস্পরের জুলুম ঘাড় পেতে বহন করবে, এইজন্য তো বিবাহ    — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ফাল্গুনে বিকশিত কাঞ্চন ফুল , ডালে ডালে পুঞ্জিত আম্রমুকুল । চঞ্চল মৌমাছি গুঞ্জরি গায় , বেণুবনে মর্মরে দক্ষিণবায়   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ফাগুনের নবীন আনন্দে গানখানি গাঁথিলাম ছন্দে; দিল তারে বনবীথি কোকিলের কলগীতি, ভরি দিল বকুলের গন্ধে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস, ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস। নদীর ওপার বসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে; কহে, যাহা কিছু সুখ সকলি ওপারে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যখন তুমি সত্য কথা বলবার জন্য নিন্দা কর না, কেবল নিন্দা করবার জন্য সত্য কথা বল, তখন তোমার সে সত্য কথা নীতির বাজারে মিথ্যা কথার সমান দরেই প্রায় বিক্রি হবে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যুক্তির একটা ব্যাকরণ আছে, অভিধান আছে, কিন্তু আমাদের রুচির অর্থাৎ সৌন্দর্যজ্ঞানের আজ পর্য্যন্ত একটা ব্যাকরণ তৈয়ারি হইল না। তাহার প্রধান কারণ, সে আমাদের হৃদয়ের মধ্যে নির্ভয়ে বাস করিয়া থাকে- এবং সে দেশে “কেন”- আদালতের ওয়ারেন্ট জারি হইতে পারে না।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মানুষ যে কেবল নিজের মধ্যে আছে তা নয়, সকলে তাকে যা জানে সে জানার মধ্যেও সে অনেকখানি আছে। … তাই ‘আপনাকে জানো’ এই কথাটা শেষ কথা নয়, ‘আপনাকে জানাও’ এটাও খুব বড়ো কথা।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সমস্ত পৃথিবী বলছে আমি গোলাকার, কিন্তু আমার পায়ের তলার মাটি বলছে আমি সমতল। পায়ের তলার মাটির জোর বেশি, কেননা সে যেটুকু বলে সে একেবারে তন্ন তন্ন করে বলে। পায়ের তলার মাটির কাছ থেকে পাই তথ্য, অর্থাৎ কেবল তথাকার খবর, বিশ্বপৃথিবীর কাছ থেকে পাই সত্য, অর্থাৎ সমস্তটার খবর।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রতি মানুষের জীবনের সমস্ত কাজ তুমি রাশীকৃত করে পরীক্ষা করে দেখো, দেখবে, যে খনিতে জন্মেছে তার গায়ে তার মাটি লেগে থাকবেই থাকবে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সংসারে প্রতিদিন আমরা যে সত্যকে স্বার্থের বিক্ষিপ্ততায় ভুলিয়া থাকি উৎসবের বিশেষ দিনে সেই অখণ্ড সত্যকে স্বীকার করিবার দিন-এইজন্য উৎসবের মধ্যে মিলন চাই। একলার উৎসব হইলে চলে না।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মানুষের প্রাণে বিষ মিশায়েছে মানুষ আপন হাতে , ঘটেছে তা বারে বারে ।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মানুষ এক দিকে মৃত্যুর অধিকারে, আর-এক দিকে অমৃতে; এক দিকে সে ব্যক্তিগত সীমায়, আর-এক দিকে বিশ্বগত বিরাটে। এই দুয়ের কোনোটাকেই উপেক্ষা করা চলে না।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অন্য ক্ষমতা যখন কম থাকে তখন খোঁচা দিবার ক্ষমতাটা খুব তীক্ষ্ম হইয়া উঠে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নিজের কাছে নিজের শোকের একটি অভিমান আছে। এত তীব্র বেদনাও যে কোনো চিরসত্যকে বহন করে না সে কথাটাকে আমরা সান্ত্বনাস্বরূপে গ্রহণ করি নে, তাতে আমাদের দুঃখের অহংকারে আঘাত লাগে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মন দিয়ে মন বোঝা যায়, গভীর বিশ্বাস শুধু নীরব প্রাণের কথা টেনে নিয়ে আসে।    — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যে ধর্মের নামে বিদ্বেষ সঞ্চিত করে, ঈশ্বরের অর্ঘ্য হতে সে হয় বঞ্চিত।    — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ভৈরব, তুমি কী বেশে এসেছ, ললাটে ফুঁসিছে নাগিনী, রুদ্র-বীণায় এই কি বাজিল সুপ্রভাতের রাগিণী?   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শর ভাবে, ছুটে চলি, আমি তো স্বাধীন, ধনুকটা একঠাঁই বদ্ধ চিরদিন। ধনু হেসে বলে, শর, জান না সে কথা-আমারি অধীন জেনো তব স্বাধীনতা।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অতীতকাল যত বড় কালই হ’ক নিজের সম্বন্ধে বর্তমান কালের একটা স্পর্ধা থাকা উচিত। মনে থাকা উচিত তার মধ্যে জয় করবার শক্তি আছে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অসীম সে চাহে সীমার নিবিড় সঙ্গ সীমা হতে চায় অসীমের মাঝে হারা   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মন দিয়ে মন বোঝা যায়, গভীর বিশ্বাস শুধু নীরব প্রাণের কথা টেনে নিয়ে আসে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যে ধর্মের নামে বিদ্বেষ সঞ্চিত করে, ঈশ্বরের অর্ঘ্য হতে সে হয় বঞ্চিত।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ধর্ম যারা সম্পূর্ণ উপলব্ধি না করিয়া প্রচার করিতে চেষ্টা করে তহারা ক্রমশই ধর্মকে জীবন হইতে দূরে ঠেলিয়া থাকে। ইহারা ধর্মকে বিশেষ গন্ডি আঁকিয়া একটা বিশেষ সীমানার মধ্যে আবদ্ধ করে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ছোট ছোট মুখ জানে না ধরার দুখ, হেসে আসে তোমাদের দ্বারে। নবীণ নয়ন তুলি কৌতুকেতে দুলি দুলি চেয়ে চেয়ে দেখে চারিধারে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
একটা মন আর একটা মনকে খুজিতেছে নিজের ভাবনার ভার নামাইয়া দিবার জন্য, নিজের মনের ভাবকে অণ্যের মনে ভাবিত করিবার জন্য।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
চোখ কতটুকুই দেখে কান কতটুকুই শোনো স্পর্শ কতটুকুই বোধ করে। কিন্তু মন এই আপন ক্ষুদ্রতাকে কেবলই ছড়িয়ে যাচ্ছে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যৌবনের শেষে শুভ্র শৎরকালের ন্যায় একটি গভীর প্রশান্ত প্রগাঢ় সুন্দর বয়স আসে যখন জীবনের শেষে ফল ফলিবার এবং শস্য পাকিবার সময়   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দীর্ঘ আয়ু দীর্ঘ অভিশাপ বিচ্ছেদের তাপ নাশে সেই বড়ো তাপ   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমরা কথার অধীন, প্রধার অধীন অসংখ্য প্রবৃত্তির অধীন   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ফাগুনের নবীন আনন্দে গানখানি গাঁথিলাম ছন্দে; দিল তারে বনবীথি কোকিলের কলগীতি, ভরি দিল বকুলের গন্ধে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কখনো বা চাঁদের আলোতে কখনো বসন্তসমীরণে সেই ত্রিভুবনজয়ী, অপাররহস্যময়ী আনন্দ-মুরতিখানি জেগে ওঠে মনে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমার মৃত্যুকালে তোমাকে যে- কথাটা বলিব মনে করিয়াছিলাম, আজ তাহা বলিতে ইচ্ছা করিতেছে।
ছোট ছোট মুখ জানে না ধরার দুখ, হেসে আসে তোমাদের দ্বারে। নবীণ নয়ন তুলি কৌতুকেতে দুলি দুলি চেয়ে চেয়ে দেখে চারিধারে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সংসারে সেরা লোকেরাই কুড়ে এবং বেকার লোকেরাই ধন্য। উভয়রে সম্মিলন হলেই মণি কাঞ্চন যোগ। এই কুঁড়ে বেকারে মিলনের জন্যইতো সন্ধ্যেবেলাটার সৃষ্টি হয়েছে।যোগীদরে জন্য সকালবেলা রোগীেদের জন্য রাত্রি কাজের লোকদের জন্য দশটা-চারটে।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
স্পন্দিত নদীজল ঝিলিমিলি করে , জ্যোৎস্নার ঝিকিমিকি বালুকার চরে । নৌকা ডাঙায় বাঁধা , কাণ্ডারী জাগে , পূর্ণিমারাত্রির মত্ততা লাগে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পরস্পর পরস্পরের জুলুম ঘাড় পেতে বহন করবে, এইজন্য তো বিবাহ ।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস, তোমার চোখে দেখেছিলেম আমার সর্বনাশ।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মেয়েরা অল্প কারণে কাদতে জানে এবং বিনা কারণে হাসতে পারে, কারণ ব্যতীত কার্য হয় না, জগতের এই কড়া নিয়মটা কেবল পুরুষের পক্ষেই খাটে ।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আলো বলে, অন্ধকার তুই বড় কালো অন্ধকার বলে, ভাই তাই তুমি আলো।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আজ মনে হইতেছে, তুমি আমাকে যত শাস্তি দাও- না কেন আমি বহন করিতে পারিব।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ক্ষুদ্রকে লইয়াই বৃহৎ, সীমাকে লইয়াই অসীম, প্রেমকে লইয়াই মুক্তি। প্রেমের আলো যখনই পাই তখনই যেখানে চোখ মেলি সেখানেই দেখি, সীমার মধ্যে সীমা নাই।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পুরুষের বুদ্ধি খড়গের মতো; শান বেশি না দিলেও কেবল ভারেই অনেক কাজ করতে পারে। মেয়েদের বুদ্ধি কলম-কাটা ছুরির মতো; যতই ধার দাওনা কেনো, তাতে বৃহৎ কাজ চলে না।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ! ধুলায় ধূসর রুক্ষ উড্ডীন পিঙ্গল জটাজাল, তপঃক্লিষ্ট তপ্ত তনু, মুখে তুলি বিষাণ ভয়াল কারে দাও ডাক হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ!   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার ধরিয়া রাখার মত বিড়ম্বনা আর হয় না   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কত বড়ো আমি’ কহে নকল হীরাটি। তাই তো সন্দেহ করি নহ ঠিক খাঁটি।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যে ধর্মের নামে বিদ্বেষ সঞ্চিত করে, ঈশ্বরের অর্ঘ্য হতে সে হয় বঞ্চিত।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে, বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি, অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক। মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
হেরো পুরানো প্রাচীন ধরণী হয়েছে শ্যামল-বরনী, যেন যৌবন-প্রবাহ ছুটিছে কালের শাসন টুটাতে; পুরানো বিরহ হানিছে, নবীন মিলন আনিছে, নবীন বসন্ত আইল নবীন জীবন ফুটাতে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

দূরে কোন্‌ শয্যায় একা কোন্‌ ছেলে বংশীর ধ্বনি শুনে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ভয়ের তাড়া খেলেই ধর্মের মূঢ়তার পিছনে মানুষ লুকাতে চেষ্টা করে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

অনুগ্রহ দুঃখ করে, দিই, নাহি পাই। করুণা কহেন, আমি দিই, নাহি চাই।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমি পাইলাম , আমি ইহাকে পাইলাম সাহেব সাজা বাঙালিদের প্রতি পদে ভয়, পাছে তারা বাঙালি বলে ধরা পড়েন   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আনন্দে আতঙ্কে নিশি নন্দনে উল্লাসে গরজিয়া মত্ত হাহা রবে ঝার সঞ্জীব বাধ উন্মাদিনী কালবৈশাখীর নৃত্য হোক তবে ।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সংসারে সাধু-অসাধুর মধ্যে প্রভেদ এই যে, সাধুরা কপট আর অসাধুরা অকপট   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যায় যদি লুপ্ত হয়ে থাকে শুধু থাক এক বিন্দু নয়নের জল কালের কপোল তলে শুভ্র সমুজ্জ্বল এ তাজমহল   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমরা কথার অধীন, প্রধার অধীন অসংখ্য প্রবৃত্তির অধীন   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যে খ্যাতির সম্বল অল্প তার সমারোহ যতই বেশি হয়, ততই তার দেউলে হওয়া দ্রুত ঘটে   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রুদ্র, তোমার দারুণ দীপ্তি এসেছে দুয়ার ভেদিয়া; বক্ষে বেজেছে বিদ্যুৎবাণ স্বপ্নের জাল ছেদিয়া   — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
Leave a comment