দীপার গল্প ~ কিরে দীপা কোথায় যাচ্ছিস

akhi akter

দীপার গল্প ~

কিরে দীপা কোথায় যাচ্ছিস

আমাকে দেখে.

আমাকে দেখে লুকাচ্ছিস কেন আমি তোর কাকিমা আমাকে চিনতে পারছিস না নাকি

আরে কাকিমা তুমি কেমন আছো বলো ভালো আছি কিন্তু তুই এমন লুকিয়ে যাচ্ছিস মনে হচ্ছে কি হয়েছে আর তোকে তো এখানে বিয়ে দেয়নি তুই এখানে কি করছিস

রোমান্টিক প্রেম আসুক,স্বপ্নের খোলামেলা

হ্যাঁ কাকিমা আমি এখানেই থাকি

এখানে থাকিস মানে

তোর স্বামীর বাড়ির সব লোকেরা কি এখানে চলে এসেছিস নাকি কিন্তু ওখানে তো শুনেছিলাম বাড়ি আগেকার অনেক পুরনো বাড়ি আছে তাহলে ওখান থেকে এখানে কেন 

আছিস কিছু তো বল না কখন থেকে কত কিছু জিজ্ঞেস করছি একটা তো কিছু বল

তোমাকে বলছি তুমি আমার সাথে

চলো তোর সাথে এখন কোথায় যাব

আমার বাড়ি যাবে চলো

আচ্ছা ঠিক আছে চল

এই বলে দিপা তার কাকিমাকে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলো

যেতে যেতে দিপা বলল আমার ছেলে

ক্লাস টেনে পড়ে স্কুলে গিয়ে দিতে এসেছিলাম

তুই কেন এসেছিস

তোর বর ও তো আসতে পারত তুই একা কেন এসেছিস

এসব কথা বলব কাকিমা চলো আগে ঘরের দিকে চলো তারপর বলছি

আচ্ছা কাকিমা বল বাড়ির সবাই কেমন আছে মা বাবা

কাকাই ভাই তারা সবাই ভালো আছে তো

হ্যা রে সবাই ভালো আছে 

আর তোর ভাই তো বিয়ে করেছে

তাদের একটি মেয়েও আছে এখন ওরা সব ভালো আছে কাকিমা আমি শুনতে পেরেছি কিন্তু কি করব বল যেতে পারিনি কি বলছি শোনার পর একবার যাওয়ার প্রয়োজন মনে করিসনি

 তুমি চলো আগে বাড়িতে তারপর বলছি তোমাকে সব 

আচ্ছা ঠিক আছে

দীপা তার কাকিমাকে নিয়ে যে বাড়িতে থাকে তাদের বাড়িতে আসলো

দীপা নিজের ভারা বাড়িতে টিউশনি করে উপার্জন করে তাতেই ছেলে ও মা দুজনে মিলে সংসার চালায় ও অভিজিৎ একটু সাহায্য করে

দিপার কাকিমা বলল

দীপা অনেক হয়েছে এদিকে আয়

এখানে আয় বস আমার পাশে আর কি হয়েছে আমাকে সব টা খুলে বল

আসলে কাকিমা তুমি তো জানো আমার পছন্দ করা 

ছেলের সাথে বাড়ি থেকে বিয়ে দিতে মানা করেছে

তারপর আমি জড়াজড়ি করে বাড়ি থেকে আবার আমার কথাটা মেনে নিয়েছে আমাদের বিয়ে তো ঠিকই দিয়েছে কিন্তু

বিশ্বাস করো কাকিমা এরপর থেকে আমি 

ঐ বাড়িতে গিয়ে তাদের সঙ্গে

চাইলেই সব কিছু পাওয়া যায় না

ভালো করে একটা মাস থাকতে পারেনি ভালো করে কাকিমা একটা মাস ও না

অভিজিৎ বলেছিল আমি খুব ভালোবাসি কিন্তু যখন বাড়িতে থাকতে গেলাম

তখন জানলাম অভিজিৎ এর মায়ের গায়ের রং কালো পছন্দ নয় গায়ের কি বলুন কোন জিনিস কালো রঙের পছন্দ নয় তাই আমি একটু শ্যামলা বলে ওর মা আমাকে মেনে নিতে পারেনি

প্রথমে অভিজিতের কথাই মেনে নিয়েছে কিন্তু পরে যখন বউ জামাই দেখত সকালবেলা উঠে আমার সাথে অতিবাহিত হয়েছে তার মায়ের এসব সহ্য হতো না কারণ পছন্দ করেন তখন থেকে আমার জীবনের সূচনা হলো করেছিলাম সেটা ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু

অভিজিতের মায়ের চেয়ে কালো রং পছন্দ নয় সেটা তো আর আমি জানতাম না

এমনকি অভিজীত আমাকে এ বিষয়ে কিছু বলেননি

আর বললেই বা কি করব

ওকে না বিয়ে করে কি থাকতে পারতাম তখন

সবই আমার কপালের দোষ

তারপর আর কি করবো

বিয়ের এক মাস পরে আমি জানতে পারি আমি প্রেগন্যান্ট

এই অবস্থিত কোন টেনশন বাহু কেউ যদি না দেখতে পারে এসব সহ্য করা খুবই কঠিন তাই অভিজিৎ ঠিক করছিল কি করবে বলো

তারপর উচিত ঠিক করল আমাকে ভারাট

ভাড়াটিয়া দেবে ও অভিজিৎ আমায়

একা খেয়াল নেবে এবং ওর বাড়িতে আমাকে 

রাখবে না

দরকার হলে অভিজিত সহ

আমাকে নিয়ে ভাড়াটিয়া থাকবে

তারপরও বিচিত্রমুখী ভাড়াটিয়া ঘরটা ঠিক 

করে 

দে ও অপু এ পৃথিবীতে আসা পর্যন্ত আমার সাথে এবাড়িতে ভাড়াটিয়া থাকে

শুধু আসা পর্যন্ত না এখন পর্যন্ত সুবিধা-অসুবিধা আমাদের বাড়িতে আমাকে থাকতে দেয় না কিন্তু একবার যখন 

অপুর বয়স

3

বছর হয় তখন

অভিজিতের মা নিয়ে যেতে চেয়েছিল কিন্তু অভিজিৎ না করে তারপরেও আমি অনেককে বলে যেও না হয়তো বেঁচে না থেকে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে তাই ওকে নিয়ে গেলাম

অভিজিতের বাড়িতে

সেখানে কিছু মাস থেকে আবার

এই 

ভাড়াটিয়া

তে চলে এলামতারপর আর অভিজিৎদার বাড়ীতে আমার যাওয়া হয়নি তারপর থেকে অপু আমি ওকে নিয়ে এখানে থাকি আমরা দুজন থাকি আমি টিউশনি বাড়িতে আর অভিজিৎ একটু করে মাঝেমধ্যে কিন্তু শুধু আমি ওদের বাড়িতে থাকি না আমি সিমলাপালে একটু কালো হওয়ার জন্য এত খারাপ ব্যবহার করব ভাবতে পারিনি

কি বলছিস দীপা তোর ছেলে তো বড় হয়ে গেছে আর আমরা এমন কি তোর মা বাবা কেউ কিচ্ছু জানে না এতদিন ধরে তো ভেবে আসছি আমরা সবাই তুই তোর শ্বশুর বাড়িতেই আছিস কিন্তু তোর সাথে যে এরকম হলে বাড়িতে কাউকে জানাস নি কেন কিরে বাড়িতে কি এমন কেউ নেই তুই মা-বাবাকে না বলতি আমাকে তো বলতে পারতে কিছু না কিছু একটা ব্যবস্থা 

করতাম তুই একা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলি অথচ বাড়িতে মানে আমাকে

এক জোড়া নূপুরের সেই ভালোবাসা

এক বার বলা প্রয়োজন মনে করিস নি বলে তো দেখতেই তোর কাকিমা কিছু করে কিনা এরকম কেন করস কিরকম লাগে তোর ছেলেটা এত বড় হয়েছে অথচ এতদিন ধরে দাদু দিদিমা মামা ঠাম্মা ঠাম্মা ওদের বাড়ির মানুষের যদি একটু সাহায্য করেছে কিন্তু ভালো করে থাকতে পারেনি বড়ছেলেটাও ভালোভাবে থাকতে পারলে ভালো হতো

আচ্ছা দীপা একটা কথা বলতো এত দিন হয়ে গেল একদিন জিজ্ঞেস করেনি ওর মামার বাড়ির কথা তারপর নিজের বাড়ির কথা জানতে চায় নাকি ও হ্যা কাকিমার বলে ওটা বলার পর হে আপু আমাকে বলেছে যে মাত্র কিছুদিন আগে যা হওয়ার হয়ে গেছি একবার মামার বাড়িতে গেলে দেখা যাবে ওদের মনে তোমার জন্য কি আছে দেখবে সবাই মেনে নেবে সুন্দর করে ব্যবহার করবে

তবুও যেতে চাইনি আর চাইবো  কিভাবে

কিন্তু দেখি এবার বাড়িতে আসলে আবার কি বলে যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে যাওয়ার জন্য তখনই এমন হয়ে যাবে যা হওয়ার হবে তোকে একটা কথা বলি আজ বিকেলে চল আমি তোর এখানে থাকি তারপর বিকেলবেলা আমার সাথেই তোর আঁচলে কিছু যদি বলে আমি তোমার কাকিমার বাড়িতে বসে থাকল তারপর এক ঘণ্টা আগে

অভিজিৎ 

দীপার ভাড়া বাড়িতে আসে তার পরেই

আবার শুরু হয় সবকিছু ঘটনার আগে ঘটেছিল অভিজিতের মা দীপার সঙ্গে যা ব্যবহার করেছিল তারপর কিভাবে ওরাও বাড়িতে এসেছিল অভিজিৎ আবার 

কাকিমাকে বলে তারপর এর এক ঘণ্টা পরেই উপকূল থেকে ফিরে আসে স্কুল থেকে অপু স্কুল থেকে ফিরে আসে তারপর সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া শেষ করে

অপ অভিজিৎ ও দীপা কে নিয়ে অপুর মামার বাড়িতে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়ে এবং 

ওরা

কাকিমাকে নিয়ে আবার রওনা হয় বাড়ির দিকে মানে অপুর মামার বাড়ির দিকে যাওয়ার জন্য রওনা হয়

অপর অনেক

অপর অনেক ইচ্ছে ছিল ও বাড়িতে গিয়ে সবার সঙ্গে দেখা করবে কত মজা করবে ছোট থেকেই বলতো

খেলবে তারপর মামার আদর পাবেন মামির আদর পাবে তারপর ছোট বোন দেশ বোনের সাথে খেলবে সবকিছু খুব ভালো লাগতো তাই আজকে আর অভিজিৎ অধিকারী না করতে পারিনি আগে কাকিমা এসেছিল তাই চলে গেল

দীপা ওখানে গেলে সবাই হঠাৎ চমকে উঠে অনেক কথা বললেও পরে সবটা বলার পর ওরা সবকিছু বুঝতে পারে 

ও ও

অপু এবং অভিজিৎ ও দীপাকে তারা মেনে নে তারপর থেকেই

দীপার বাবা-মা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই ব্যাপারে অভিজিতের বাড়ির সাথে

বাড়িতে

গিয়ে মা

অভিজিতের মা-বাবার সাথে দেখা করবে এবং সবকিছু বলবে এবং জিজ্ঞেস করবে কেন এরকম করছে সেজন্য যদি তাদের কোনো প্রবলেম থাকতো তারা তো আগেই বলতে পারতে এরকম ভাবে বিয়ে করিয়ে নিয়ে ছেলের বউকে অপমান করা এবং বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হতো

এটা

কি ঠিক এটা তো ঠিক না

গরাদের উচিৎ নয় আমাদের যেতেই হবে

তুই

তোর এতদিনে মনে হলো এখানে আসতে দু’বছর পর এত বছর ধরে আসিস নি কেন

দীপার কাকিমা বলছে দাদা আমিও বলছিলাম ওদেরকে রাস্তায় যেতে হঠাৎ আমার সাথে দেখা হয় তারপর আমি ওর সাথে কথা বলতে বলতে বলতে ওর বাড়িতে চলে যাব যাওয়ার পরে এসব জানতে পারি তারপরে বলছিলাম যে এত বছর হয়ে গেল কিছু তো 

বলতে পারতি

দীপার মা বলছে হ্যাঁ দিব তুই এটা কিন্তু ঠিক করিস নি একবার তো বলে দিচ্ছি বাড়িতে যে আমরা তোর জন্য কি করতে পারি কিছু করি না কি করি না যাইহোক এসব বাদ দে

আমাদের বাড়ির আজকে আমাদের বাড়িতে তোরা সবাই থাক

আল্লাহর সকাল সকাল কার

কাল

সকাল সকাল বেরিয়ে পড়বো তারপর তাড়াতাড়ি ওদের বাড়িতে গিয়ে আমাদের কথা বলতে হবে এবং সবটা ব্যাপারে জানতে হবে ওরা এরকম কেন করো অনেক কিছুই আছে

করল

তারপর রাতের খাবার-দাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়ল এবং সকালবেলা উঠে যখন সকাল আটটা বাজলে তখন

ট্রিপল মা-বাবা দিব্যা অভিজিৎ অভিজিৎ দের বাড়ির দিকে রওনা হলো গিয়ে

অভিজিতের মা-বাবাকে শব্দ জিজ্ঞেস করল কেন কি কিছু করল তারপর অনেক কিছুই বলল আর কম করা উচিত কি উচিত না তখনকার আগেই বুঝতে পারলো যে তার সাথে এরকমটা করা উচিত

হয়নি তারপর অভিজিতের মা-বাবা সবাই দীপাকে মেনে নিয়েছে এবং বলেছে আর ভাড়াটিয়া যেতে হবে না এখন থেকে তুমি এই বাড়িতে থাকবে তারপর থেকে

তারপর থেকে দু’পরিবারের মধ্যে অনেকটাই মিল চলে এসেছিল এবং কাকিমার এসব জেনে খুব খুশি ছিল যে

সব ঠিক তো

হয়েছে অনেক

বছর পরে হলেও ঠিক হো

হয়েছে এটাই বেশি কারণ এখনদু পরিবারে খুব সুখে আছে ভালো দিন কাটাচ্ছে তাদের দিনগুলি এই ভাবেই চলছে।

1 Comment