প্রেমের নাম ভালোবাসা: অদৃশ্য সান্ত্বনা
আমি আজও কাঁদি তবে আড়ালে
বাস্তবে তো আমি দোষী
আমি এই বদনামেও খুশি !
আমি না পেয়েও তোর না পাওয়ার পথের কাঁটা হইনি !
আজকাল প্রেম মানে নগ্নতার সমাজ ভালোবাসা হলো যৌবনের ক্ষিদে মিটানোর এক নাম এখানে দুটি মন একে অপরকে খোঁজে না খোঁজে শুধু দুটি শরীর একে অপরকে যদি এটাই হয় তাহলে পতিতালয় এ যাও !
এইভাবে ভালোবাসাকে বদনাম করে কোনো লাভ নেই ।
শরীরের কথা না ভেবে, মণ থেকে কাউকে ভালোবেসে দেখো ।
যদি কাওকে ভালোবেসে তাকে কাছে নাও পাও ।
যদি ভালোবাসায় সফলও না হও ।
তার কষ্টও ভালোবাসার চিহ্ন হয়ে হৃদয়ে লেখা থাকবে ।
এ ভালোবাসা কষ্ট দেবে ঠিকই কিন্তু সেই কষ্টের এক আলাদা আনন্দ ।
শিখিয়ে দেবে কিভাবে ভালোবাসতে হয় ।
- ভালোবাসার মাঝে ছুটে আসা কোন অনুভুতি
- হুমায়ূন আহমেদ এর অডিও বুক মন ভালো করার উপায়
- প্রেম কিভাবে একটি অলৌকিক ঘটনা? প্রেমের সংকেত গল্প
- আকাশে রোদ উঠেছে হঠাৎ বসন্তের আগমন বসন্তের ছোঁয়া
- ফ্রিল্যান্সিং কি?কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো?
আমাদের আরও সুন্দর সুন্দর গল্প ও কবিতা পড়তে এখানে ক্লিক করুন যদি আমাদের সাথে শেয়ার করতে চান তো এখানে ক্লিক করুন আমি তোকে ছোটবেলা থেকেই পছন্দ করতাম ।
পরে সেটা কথন ভালোবাসাই পরিণত হয়েছে তা আমি নিজেই জানি না ।
মন চাইতো শুধু যেনো তোর দিকেই তাকিয়ে দেখি ।
ধিরে ধিরে দিন কেটে যায়, আর আমি তোকে নিয়ে একটা স্বপ্ন দেখতে শুরু করি ।
তখন থেকেই তোকে হারানোর ভয় আমাকে পাগল করে দিয়েছিল ।
তাই তোকে আমার মনের কথাটা বলতেও সাহস হয়নি ।
হঠাৎ একদিন তোর ফোন নম্বর টা পেলাম । সেদিনই আর অপেক্ষা করতে পারলাম না , একটা ছোট্ট এসএমএস করে পাঠালাম ।
রিপ্লাইটা এলো অনেক দেরিতে এলো ।
বই নিয়ে উক্তি ! বই পড়া নিয়ে হুমায়ুন আহমেদের প্রেমের উক্তি
তুই আমার নাম জানতে চাইছিলিস , তবে আমি বলতে পারিনি ।
তবে আজও মনে আছে নামের স্পেলিং নিয়ে সেই খেলাটা ।
পরের দিন স্কুলে গিয়ে তোর দিকে তাকাতে খুব ভয় পাচ্ছিলাম, যদি বুঝতে পারিস ।
তবে তোকে না দেখেও থাকতে পারলাম না, বন্ধুদের আরাল দিয়ে দেখছিলাম। হঠাৎ তুইও আমার দিকে দেখলি ।
আমি লজ্জায় চোখ ঘুরিয়ে নিলাম ।
রাতে এসএমএস আর স্কুলে আড়াল থেকে তোকে দেখা এইভাবেই কিছুদিন কেটে গেল ।
আজও মনে আছে সেই দিনের কথা যেদিন তোকে প্রথমবার কল করেছিলাম ।
তুই- হেলো ! কে ?
আমি- নামটা নাহয় অন্ন দিন যেনো ।
তুই- কে বলছেন বলুন না ।
আমি- নামটা এখন বলতে পারবো না ।
আমি- আমি তোমাকে ভালবাসি । তুমি কি আমাকে ভালোবাসো ?
তুই- না ।
আমি- একেবারেই না । আমি কে না জেনেই ? একবার অন্তত ভাবুন ।
তুই- আপনি যে কেউ হন না কেন, আমি কাউকেই ভালোবাসতে পারবো না ।
আমি- কিন্তু কেনো ? আপনি কি কাউকে ভালোবাসেন ?
তুই – না । অন্ন কারণ , সেটা বলা যাবে না । আমি এখন আর কথা বলতে পারবো না ।
রাখছি …………….
পরের দিন তোকে আবার কাল করলাম ,আমি- আজ কি কথা বলতে পারবে ?
তুই- হ্যাঁ , আপনি কে আগে বলুন ।
আমি- আমি আমার নামটা বললাম ।
তুই- ও তুই ?
আমি- হ্যাঁ , আমি তোকে খুব ভালোবাসি ।
তুই- আমি তোকে ভালোবাসতে পারবো না ।
আমি- আমার দোষটা কি বল ?
তুই- দোষটা আমার ভাগ্যের । এই বলে কারণটা বললি !
আমার আজও মনে আছে তোর সেই কাঁদার কথা , আমি আজও ভুলতে পারিনি ।
সেদিন আমাদের কথা বলতে বলতে ১২.৩০ টা বেজে গেলো ।
আমি- আমি তোর সব কিছুতেই আপন করে নিতে রাজি আছি । আমি তোর উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম । রাখছি………
পরের দিন স্কুলে আমি তোর দিকে তাকাতে পারলাম না ।
সেদিন রাতে এসএমএস এ তোর উত্তর পেলাম । সেদিন আমি এত খুশি হয়েছি, কাউকে বলতে পারবো না ।
পড়তে থেকে একসাথে ফেরা, স্কুলে একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকা , আর রাতে এসএমএস এর পর এসএমএস ।
প্রাই ঝগড়াও হতো , তবে এটা ভালোবাসাকে আরো গভীর করে ।
মাঝে মাঝেই ঘুরতে যাওয়া, তোর পিসির বাড়ি । এইভাবে এক এক করে স্বপ্ন দেখা হচ্ছিল দুজনে ।
আমি তোকে হারানোর খুব ভয় পেতাম । ওদিকে তোর বাবা আমাদের ব্যাপারে সব জেনে গেল । আমি জানি আমার জন্য তোকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে ।
প্রবলেম তোর জিবনকে আঁকরে ধরছিলো । আমি তোকে কষ্টে দেখতে কোনোদিনও চাইনি ।
তাই আমি তোর থেকে দূরে সরে যাবো বলে ভাবলাম । একদিন তোকে সব কিছুও বললাম , কিন্তু তুই আমাকে আবার নিজের কাছে টেনে নিলি ।
আমি তোকে ছেড়ে দূরে গিয়েও বাঁচতে পারতাম না ।
এইভাবে চলছিল, কিয়েক মাস পর তোর বাড়িতে প্রবলেম হলো ।
সেটা রোজই হতো প্রায় । তার উপর উপর তোর মায়ের শরীর খারাপ হলো ।
আমি আমার সাধ্য মতো তোর পাশেই ছিলাম । কিছু দিন পর তোর মা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এলো । আমার জন্য তোর পড়াশুনাও খারাপ হতে লাগলো দিনের পর দিন ।
আমার জন্য তোর carrier এর কোনো ক্ষতি হোক তা আমি চাইনি ।
আর তাছাড়া তোর বড়ো স্বপ্ন ছিল তুই বড়ো হয়ে নিজে কিছু করবি আর তোর মায়ের পাশে দাঁড়াবি ।
আমার জন্য সে স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যাবে তা আমি হতে দেবো না । তাই তোর সাথে ব্রেক আপ করলাম , সত্যি বিশ্বাস কর সেই দিনের কষ্টটা আজও মাঝে মাঝে কাঁদায় ।
আমি ভেবছিলাম তোদের বাড়িতে প্রবলেম শেষ হয়ে যাবে , আর দুজনে নিজের পায়ে দাড়িয়ে যাবো ।
তার পর দুজনে যে বিয়ের স্বপ্নটা দেখেছিলাম সেটা পূরণ হবে । যাতে তুই পড়াতে মন বসাতে পারিস তাই তোর নম্বরটা ব্লক করেছিলাম ।
বিশ্বাস কর তোর যতটা কষ্ট হয়েছে ঠিক ততটাই কষ্ট আমারও হয়েছে । কিছুদিন পর তোর বন্ধুর কাছে খোজ নিলাম….
ততোদিন তুই অন্য জনের হয়ে গেছিস । আমি ভেবেছিলাম তুই আমার উপর রাগ করবি, ঘৃণা করবি, কথাও বলবি না ।
কিন্তু তুই আমাকে এতো তাড়াতাড়ি ভুলেও যাবি সেটাও জানতাম না । ব্রেক আপের কষ্টটা সারাজীবনের জন্য হয়ে গেল ।
প্রেম, একটি অনুভূতি যা ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন। এটি এক ধরনের ভালোবাসা, যা প্রত্যেকের হৃদয়ের গভীরে প্রবাহিত হয়। কিন্তু প্রেম কি শুধুই দেখা যায়? বা কি শুধু অনুভব করা যায়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে, আমরা বুঝতে পারি যে প্রেমের আসল রূপ অনেকটাই অদৃশ্য সান্ত্বনা-এর মতো।
প্রতিদিনের জীবনে, আমরা নানা ধরণের চাপে থাকি। কাজের চাহিদা, জীবনের দায়িত্ব—এই সব কিছুই আমাদের হৃদয়কে ভারাক্রান্ত করে তোলে। কিন্তু এমন সময়ে, যখন কোনো কাছের মানুষ আমাদের দিকে হাসি উপহার দেয়, তাদের উপস্থিতি আমাদের মনকে শান্ত করে দেয়। এই অদৃশ্য সান্ত্বনা আমাদের দুঃখ, ক্লান্তি দূর করে। এর মূলেই থাকে ভালোবাসা।
প্রেমের মধ্যে আছে এক বিশেষ ক্ষমতা, যা মানুষকে অন্যরকম এক আনন্দে ভরিয়ে তোলে। আমরা অনেক সময় ভাবি, “ভালোবাসা কি শুধুই কথায় প্রকাশিত হয়?” না, এর প্রয়োজন নেই। কিছু সময় প্রেমকে প্রকাশ করতে শব্দের দরকার হয় না। কোনো নির্দিষ্ট মূহুর্তে, হাতের মৃদু স্পর্শ, চোখের এক চিলতে হাসি—এই ছোট ছোট জিনিসগুলোতেই অদৃশ্য সান্ত্বনা লুকিয়ে থাকে।
অন্যদিকে, প্রেমের বড় শক্তি হল তার অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। যখন দুই মানুষ একে অপরের প্রতি গভীর মমতা পোষণ করে, তখন তারা একে অপরের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়। এই সম্পর্কের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে ভালোবাসা। এই ভালোবাসার ভরসায় মানুষ অনেক কঠিন সময় কাটিয়ে উঠতে পারে।
একটি বিষয় কখনও ভুলে যাওয়া উচিত নয়—প্রেম কখনও শুধুমাত্র শারীরিকভাবে প্রকাশ পায় না। প্রেমের রূপ অনেক, কখনও তা বন্ধুত্বের মাধ্যমে, কখনও তা পরিবারে, কখনও বা আত্মার বন্ধনে। অদৃশ্য সান্ত্বনা তাই একটি গভীর মনের অবস্থা, যা প্রেমের মাধ্যমে আসা মানসিক শান্তির প্রতিফলন।
সবশেষে, আমরা বলতে পারি, ভালোবাসা মানে শুধু হৃদয়ের গভীর অনুভূতি নয়, এটি জীবনের এমন একটি রূপ, যা সমস্ত কিছুকে একত্রে ধরে রাখে। অদৃশ্য সান্ত্বনা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে নিয়ে আসে এক বিশেষ আনন্দ, যা চোখে দেখা যায় না, কিন্তু হৃদয়ে অনুভূত হয়।
প্রেম, যার আসল নামই ভালোবাসা, আসলে আমাদের সকলের জীবনের অন্তহীন সঙ্গী।