প্রেমের অবাধ্য বন্ধুত্ব হল স্বামী বেষ্ট ফ্রেন্ড
কাশফি রিধীমার সব ওষুধ গুছিয়ে দিয়ে রিধীমার সাথে কথা বলে নিচে চলে এলো। রাফি ওর বন্ধুদের সাথে কথা বলছিল। কাশফিকে আসতে দেখে রাফি জিজ্ঞেস করে
-আপু ও কই??
-ঘরে বসে আছে। এখনো কিন্তু কিছু খায়নি।
-আপনি খাওয়াননি? (অবাক হয়ে)
-কাউকে দিয়ে খাবারটা পাঠিয়ে দিন তারাতারি। আমি ওর কাছে গেলাম।
-যাও আমি দিচ্ছি। আর রাফি শুনো। (রাফিকে পেছন থেকে ডেকে)
-হ্যাঁ বলুন।
- ফ্রিল্যান্সিং কি?কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো?
- ক্রাশ এর সাথে প্রেম
- অসম্পূর্ণ ভালোবাসা | ছোঁয়া লেগেছিল মাএ
- হুমায়ূন আহমেদ স্যারের এর কিছু মজার উক্তি
- সে এসেছিল ,হারিয়ে যেতে – তানিয়া ত্বোহা
-আমার বোনটাকে যত্নে রেখো। অনেক কষ্ট পেয়েছে ও। আর কষ্ট দিও না।
-আপু কষ্ট দেওয়ার জন্য ওকে নিজের করে নেই নি। (একটু মুচকি হেসে)
কাশফি আর কিছু না বলে খাবার পাঠিয়ে দিল রিধীমার ঘরে। রাফি তখন রিধীমাকে বলছে
-খাওনি কেন?
-প্লিজ বিরক্ত করবিনা আমায়। আর আমাকে কেন তুই তুমি বলছিস??
-সেইটা আমার থেকে ভাল তুমিই বলতে পারবা। এখন হা কর। তারাতারি খেয়ে বাসায় যেতে হবে।
-রাফি প্লিজ এনাফ আর না প্লিজ। আমায় একা থাকতে দে! (বিরক্ত হয়ে)
-কখনই না। তুমি একা নও। আমার বেবিও আছে তোমার সাথে। এখন একদম বেখেয়ালিপনা করবানা।
-রিধীমা আর কিছু বলতে পারল না। খেয়ে নিল চুপচাপ। সন্ধ্যা নামার আগেই সবাইকে বিদায় জানিয়ে রিধীমাকে নিয়ে রাফি চলে আসে। রিধীমা আসতে না চাইলেও রাফি জোর করেই নিয়ে আসে রিধীমাকে। বাসায় গাড়ি পার্ক করতেই রিধীমা চমকে যায় এত লাইট আর ডেকোরেশন দেখে।
-এইটা কি তোর বাসা? (রিধীমা রাফিকে জিজ্ঞেস করল)
-না তোমার বাসা এইটা। (রিধীমার কাঁধে হাত রেখে)
-তুই আমায় ধরেছিস কেন? ধরবিনা আমায় অপবিত্র হয়ে যাবি!
-রিধী দ্বিতীয়বার যেন এই কথা আমার শুনতে না হয়। মনে রেখো কথাটা (চোখ গরম করে)। চল এখন ভিতরে।
এরপর রিধীমাকে নিয়ে রাফি নিজের বেডরুমে আগে যায়। বেডরুম একেবারে ফুল দিয়ে সাজানো। সব ফুলগুলোই রিধীমার পছন্দের। রিধীমার এখন আর এসব ভালো লাগেনা। একবার তাঁকিয়ে বসে পরে খাঁটে। রাফি তখন আলমারি খুলে দেখালো রিধিকে। আর রিধীকে বলছিল
-এই আলমারি ভর্তি কাপড় সব তোমার। তোমার শরীরের মাপ দিয়ে সব বানানো। তোমার পছন্দমত কয়েকটা ম্যাক্সি ও আছে। যখন আমার বাবুসো*না চলে আসবে তখন তুমি এই জামাগুলো পড়বা। আমি দেখব।
-রাফি বারাবারি করবিনা আমাকে নিয়ে আজ আমি বলে দিচ্ছি ক্লিয়ার করে। তুই কখনই আমার থেকে স্বামীর মর্যাদা পাবিনা। আমাকে অন্য রুমে রেখে আয়।
-এইটা যে অসম্ভব রিধী। তুমি তো এখন আমার। আমার সাথেই তুমি থাকবে আর এক বিছানাতেই থাকবে।
-রাফি তুই ভুলে যাস না তুই আমার কে হস??
-স্বামী। তোমার অর্ধেক আমি আজ থেকে।
-রাফিইইইইইইইই?? (রিধী চিৎকার করে উঠে রাফির এমন কথায়)
-প্লিজ রিধী ফ্রেশ হয়ে এসে ঘুমিয়ে পর। আর হ্যাঁ তোমার বেষ্ট ফ্রেন্ড ও আমি আর তোমার স্বামীও আমি। কিভাবে জানো?? বন্ধুর মত করে তোমার পাশে থাকব,, সযত্নে ভুলগুলো ধরিয়ে দিব আর স্বামীর মত আদর করব,,ভালবাসব। বুঝতে পেরেছো?
-আমি তোর কোনো কথাই শুনতে চাইনা। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে এখানে। আমায় অন্য রুমে দিয়ে আয় নয়ত আমিই চলে যাচ্ছি।
-না আর কেন তোমার দম বন্ধ হয়ে আসছে?
-এই ফুল আমি সহ্য করতে পারছিনা।
রিধী এই কথা বলার সাথে সাথে রাফি সব ফুল ছিঁড়ে ফেলল। রিধীকে বলল
-জামা চেঞ্জ করে ঘুমাও। আমি ঘুম পাড়িয়ে দিব তোমায়।
-দরকার নেই। আর তোর জীবনের দ্বিতীয় ভুলটা কি জানিস? আমায় বিয়ে করা। আর প্রথম ভুলের কথা নাই বা বললাম।
-রাফি কোনোদিন,, কোনকিছু তে ভুল ছিল না আজ ও নেই। হ্যাঁ ভুল একটা করেছি যদি সেইদিনই তোমায় বিয়ে করতাম তাহলে তোমায় সমাজের চোখে খা*রাপ হতে হত না।
-এনাফ ইজ এনাফ। যথেষ্ট হয়েছে আর না।
এই বলে রিধী ওয়াশরুমে চলে গেল আর রাফি জামা কাপড় চেঞ্জ করে রিধীমার বিছানা গুছিয়ে দিল। কিছুক্ষন পর রিধীমা ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে দেখে রাফি খাট গুছাচ্ছে। রিধীমা যখন রুম থেকে বের হওয়ার জন্য পা বাড়ায় তখন রাফি রিধীমার হাত ধরে রাফির বুকে মিশিয়ে ধরে রিধীমাকে।
-কেন চলে যাচ্ছো আমায় ছেড়ে? এতটুকু মায়া নেই তোমার আমার জন্য?? (রিধীমার চোখের দিকে তাঁকিয়ে)
-রাফি ছাড় আমি ব্যা*থা পাচ্ছি।
-না। আমার সাথে ঘুমাও।
-রিধীমা আর কিছু বলতে পারল না রাফির পাশে শুয়ে পরলো। রাফি লাইট বন্ধ করে এসে রিধীমার পাশে শুয়ে পরে।
রাফি আচমকাই রিধীমার বুকের উপর মাথা রেখে কাঁদতে শুরু করে। রিধীমা অবাক হয়ে যায়।