হুমায়ূন আহমেদ এর জনপ্রিয় ৫0 টি উক্তি
১. চলে যায় বসন্তের দিন! কী অদ্ভুত কথা। বসন্তের দিন কেন চলে যাবে? কোনো কিছুই তো চলে যায় না। এক বসন্ত যায়, আরেক বসন্ত আসে। স্বপ্ন চলে যায়, আবারো ফিরে আসে।
হুমায়ূন আহমেদ (চলে যায় বসন্তের দিন)
২. আমরা সব সময় বলি— সব মানুষ সমান। একজনের সঙ্গে আরেকজনের কোনো প্রভেদ নেই। কার্যক্ষেত্রে কখনোই সেরকম দেখা যায় না। শুধু শেষ সময়ে, মৃত্যুর খুব কাছাকাছি এসে সব মানুষ এক হয়ে যায়। শুধু তখনই দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাস্তায় ইট ভাঙে যে মেয়ে তার মধ্যে কোনো তফাৎ থাকে না।❞
হুমায়ূন আহমেদ (তোমাদের এই নগরে)
৩. রাগলে মানুষের চোখ ছোট হয়ে যায়। আনন্দিত মানুষের চোখ হয় বড় বড়।
হুমায়ূন আহমেদ (হিমুর রূপালী রাত্রি)
- ফ্রিল্যান্সিং কি?কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো?
- ক্রাশ এর সাথে প্রেম
- অসম্পূর্ণ ভালোবাসা | ছোঁয়া লেগেছিল মাএ
- হুমায়ূন আহমেদ স্যারের এর কিছু মজার উক্তি
- সে এসেছিল ,হারিয়ে যেতে – তানিয়া ত্বোহা
৪. পুরুষ জাতির অনেক দুর্বলতার এক দুর্বলতা হচ্ছে,
হুমায়ূন আহমেদ (তোমাদের এই নগরে)
তারা মনে করে মেয়ে মাত্রই তার প্রেমে পড়ার জন্যে পাগল হয়ে আছে।
৫. সঙ্গপ্রিয় মানুষের জন্য নিঃসঙ্গতার শাস্তি কঠিন শাস্তি। এই শাস্তি মানুষকে বদলে দেয়।
হুমায়ূন আহমেদ
৬. ভোর বেলা মেজাজ মোটামুটি ভালো থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খারাপ হতে থাকে, বিকাল বেলায় মেজাজ সবচে’ বেশি খারাপ হয়, সন্ধ্যার পর আবার ভালো হতে থাকে। এটাই সাধারণ নিয়ম।
হুমায়ূন আহমেদ (তন্দ্রাবিলাস)
৭. মেয়ে মানুষের দুঃখ তো বলে বেড়াবার নয়; ঢেকে রাখবার।
হুমায়ূন আহমেদ (শঙ্খনীল কারাগার)
৮. বড় বড় সমস্যার সমাধান অতি সহজেই করা যায়। ছোট ছোট সমস্যার সমাধান করাই কঠিন।
হুমায়ূন আহমেদ (একজন হিমু কয়েকটি ঝিঁ ঝিঁ পোকা)
৯. বিত্তবান মানুষরা কল্পনা করতে পারেনা। তারা বাস্তব নিয়ে এত ব্যাস্ত থাকেন যে কল্পনা করার সময় পাননা।কল্পনা না করতে করতে তাদের কল্পনা করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।
হুমায়ূন আহমেদ (বৃষ্টি ও মেঘমালা)
১০. যারা কম বুঝতে পারে, এই পৃথিবীতে তারাই সবচে সুখি।
হুমায়ূন আহমেদ (তন্দ্রাবিলাস)
১১. ইউনিভার্সিটির পুরানো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলে, হাসি হাসি করে জিজ্ঞেস করা হয়— তারপর কি খবর ভালো আছেন? এখন কি করছেন?
হুমায়ূন আহমেদ (হিমুর রূপালী রাত্রি)
কলেজের পুরানো বন্ধুর সঙ্গে বলা হয়— আরে তুমি? কেমন আছো?
আর স্কুল লেভেলের বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলে— একজন আরেকজনের উপর ঝাপিয়ে পড়ে— তাই নিয়ম।
১২. বউ মানেই তো কোমল একটা ব্যাপার। স্বপ্ন এবং কল্পনা মেশানো ছবি।
হুমায়ূন আহমেদ (বাসর)
১৩. সুন্দরী মেয়েদের হাতের লেখা সুন্দর। এটা হল নিপাতনে সিদ্ধ। সুন্দরীরা মনে প্রাণে জানে তারা সুন্দর। তাদের চেষ্টাই থাকে— তাদের ঘিরে যা থাকবে সবই সুন্দর হবে।
হুমায়ূন আহমেদ (হিমুর রূপালী রাত্রি)
১৪. একেকজন মানুষ যেন একেকটা বই। কোনো বই সহজ, তরতর করে পড়া যায়। কোনো বই অসম্ভব জটিল। আবার কোনো কোনো বই এর হরফ অজানা। সেই বই পড়তে হলে আগে হরফ বুঝতে হবে। আবার কিছু কিছু বই আছে যার পাতাগুলি শাদা। কিচ্ছু সেখানে লেখা নেই, বড়ই রহস্যময় সে বই।
হুমায়ূন আহমেদ
আমার নিজের বইটা কেমন? খুব জটিল নয় বলেই আমার ধারণা। সরল ভাষায় বইটি লেখা। যে কেউ পড়েই বুঝতে পারবে। কিন্তু সত্যি কি পারবে?
সারল্যের ভেতরেও তো থাকে ভয়াবহ জটিলতা।
১৫. যাদের ঘরে কোনো আকর্ষণ নেই তারা সন্ধ্যাবেলা ঘরে ফেরে না। ঠিক সন্ধ্যায় তারা একধরনের অস্থিরতায় আক্রান্ত হয়।
হুমায়ূন আহমেদ (হিমু)
১৬. যে পাখি উড়ে যায়, তাকে ফিরে আসতে হয়। খাঁচায় বন্দি পাখিরই শুধু উড়ে যাওয়া বাঁ ফিরে আসার ব্যাপার থাকে না।
হুমায়ূন আহমেদ (চলে যায় বসন্তের দিন)
১৭. হাসলে মেয়েদের যত সুন্দর লাগে হাসি চেপে রাখলে তারচে দশ গুন বেশি সুন্দর লাগে।
হুমায়ূন আহমেদ
১৮. পরম করুণাময় ত্রিভুবনের শ্রেষ্ঠ উপহার তাকে দিয়েছেন। তার কোলভর্তি নিষাদ নামের কোমল জোছনা। আমার মতো অভাজন তাকে কি দিতে পারে? আমি দিলাম মধ্যাহ্ন।
হুমায়ূন আহমেদ (মধ্যাহ্ন; অখন্ড)
তার কোলে জোছনা, মাথার উপর মধ্যাহ্ন। খারাপ কি?
১৯. ঘুমাবার আগে আয়নায় নিজেকে দেখার বাসনা সব তরুণীর মনেই থাকে।
হুমায়ূন আহমেদ
২০. রাতের ট্রেনে উঠলে তিথির সব সময় মনে হয়- ট্রেনে ট্রেনে জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারলে মন্দ হতনা। তবে একা না। একজন পাশে দরকার। এমন একজন যাকে দেখতে ভাল লাগে। যার পাশে বসতে ভাল লাগে। যার কথা শুনতে ভাল লাগে।
হুমায়ূন আহমেদ
এমন একজন যে কথা বলতে বলতে চোখ ফিরিয়ে নিলে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করে, ‘তুমি চোখ ফিরিয়ে নিলে কেন? খবরদার আর কখনো এরকম করবে না।
২১. মুজিবকোট বঙ্গবন্ধুকেই মানায়। এই কোট বেঁটে এবং মোটারা পরলে তাদের লাগে পেঙ্গুইন পাখির মতো।
হুমায়ূন আহমেদ (হিমুর নীল জোছনা)
২২. মেয়েরা বিয়ের আগে কোনো পুরুষকেই স্বামী ভেবে আনন্দ পায় না। প্রেমিককেও তারা বিয়ের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত স্বামী ভাবে না।
হুমায়ূন আহমেদ (কিছুক্ষণ)
২৩. ছেলে পাগলের চেয়ে মেয়ে পাগল বেশি ভয়ংকর।
হুমায়ূন আহমেদ (অপেক্ষা)
২৪. কল্পনায় দেখেছি নুহাশ পল্লীর সবুজের মধ্যে সাদা ধবধবে শ্বেত পাথরের কবর। তার গায়ে লেখা চরণ ধরিতে দিয়ো গো আমারে নিয়ো না, নিয়ো না সরায়ে।
হুমায়ূন আহমেদ (কাঠপেন্সিল)
২৫. গুণী মানুষের প্রেমে মেয়েরা যুগে যুগে পাগল হয়েছে। কারণ প্রকৃতির সেই পুরানো খেলা, প্রকৃতি চাচ্ছে পুরুষদের গুণ যেন পরবর্তী প্রজন্মে ‘ডি এন এ’ র মাধ্যমে প্রবাহিত হয়। প্রকৃতি প্রাণপণে চাচ্ছে মানব সম্প্রদায়ের গুণগুলো যেন নষ্ট না হয়ে যায়। যেন প্রবাহিত হতে হতে এক সময় পূর্ণ বিকশিত হয়। তৈরি হয় অসাধারণ একটা মানব সম্প্রদায়।
হুমায়ূন আহমেদ (রুমালী)
২৬. কিছু মানুষ মনে করে নারীজাতির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার ফল একটাই; সময় নষ্ট করা। কী দরকার সময় নষ্ট করার।
হুমায়ূন আহমেদ (বীণার অসুখ)
২৭. প্রকৃতি যাকে দেবার তাকে উজার করেই দেয়। যাকে দেবার না তাকে কিছুই দেয় না। এই জন্যেই একজন হয় রবীন্দ্রনাথ, একজন হয় ঠেলাগাড়ির ড্রাইভার মুকাদ্দেছ।
হুমায়ূন আহমেদ (অপেক্ষা)
২৮. সব মানুষের ভেতরে কিছু আদিম ভয় লুকিয়ে থাকে। মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই ভয় লালন করে। খুব অল্পসংখ্যক মানুষই সেই আদিম ভয়ের মুখোমুখি হয়।
হুমায়ূন আহমেদ (মৃন্ময়ী)
২৯. ভাগ্য ফেরাবার জন্যে হলেও পুরুষ মানুষের বিয়ে দিতে হয়। কথায় আছে না স্ত্রীভাগ্যে ধন।
হুমায়ূন আহমেদ
৩০. সব দলের মন্ত্রীই একই। তাদের মধ্যে গুণগত প্রভেদ যেমন নেই, দোষগত প্রভেদও নেই। তাদের সঙ্গে গ্রাম্য বাউলদের কিছু মিল আছে। বাউলরা যেমন বন্দনা না গেয়ে মূল গান গাইতে পারেনা, মন্ত্রীরাও সেরকম নিজ নিজ নেত্রীর বন্দনা না গেয়ে কোনো কথা বলতে পারেনা।
হুমায়ূন আহমেদ (কিছুক্ষণ)
৩১. প্রেমের ধর্ম হচ্ছে অগ্নি। আগুন যেমন সব পুড়িয়ে দেয়, প্রেমও সব ছাড়খার করে দেয়।
হুমায়ূন আহমেদ (তন্দ্রাবিলাস)
৩২. মানুষ যখন একা থাকে তখন কিন্তু আসলে সে একা থাকে না, তার মনের ভেতরের মানুষগুলো তাকে ঘিরে থাকে। একা থাকার এক মাত্র উপায় হল অনেক মানুষের সাথে থাকা। কারন জনতার মধ্যেই আছে নির্জনতা।
হুমায়ূন আহমেদ (নক্ষত্রের রাত)
৩৩. যারা প্রচুর অর্থ উপার্জন করে তারা কখনো অর্থ উপার্জন বন্ধ করতে পারে না। কখনো অবসর নিতে পারে না।
হুমায়ূন আহমেদ (সেদিন চৈত্রমাস)
৩৪. মানুষের আগ্রহকে উপেক্ষা করা ঠিক না।
হুমায়ূন আহমেদ (দরজার ওপাশে)
৩৫. একজন খারাপ মানুষ অতি দ্রুত একজন ভালো মানুষকে খারাপ বানিয়ে ফেলতে পারে।
হুমায়ূন আহমেদ (শুভ্র)
৩৬. সুন্দর দৃশ্য একা বা দোকা দেখা যায় না। তিনজন লাগে ৷ Three is company
হুমায়ূন আহমেদ (এই শুভ্র! এই)
৩৭. টাকা বোকা মানুষকেও বুদ্ধিমান বানিয়ে দেয়।
হুমায়ূন আহমেদ (হিমু)
৩৮. ভালো কাজ চিন্তা ভাবনা করে করতে হয় না। মন্দ কাজ অনেক চিন্তাভাবনা করে করতে হয়।
হুমায়ূন আহমেদ (হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী)
৩৯. তোমাকে আমি কতটা ভালবাসি সেটা কি তুমি জান? জান না, তাই না?
হুমায়ূন আহমেদ (এপিটাফ)
আমিও জানি না। ভালবাসা যদি তরল পানির মত কোনো বস্তু হত তাহলে সেই ভালবাসায় সমস্ত পৃথিবী তলিয়ে যেত। এমনকি হিমালয় পর্বতও।
৪০. মাঝেমধ্যে চিন্তার জগতে যেতে হয়। চিন্তার জগত বড়ই বিচিত্র!
হুমায়ূন আহমেদ (হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী)
৪১. মানব জাতির সমস্যা হচ্ছে তাকে কোনো না কোনো সন্ধানে জীবন কাটাতে হয়। অর্থের সন্ধান, বিত্তের সন্ধান, সুখের সন্ধান, ভালোবাসার সন্ধান, ঈশ্বরের সন্ধান।
হুমায়ূন আহমেদ (হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী)
৪২. ঢাকা শহরের পথেঘাটে চাকরি পরে থাকেনা। কেউ এলো, পথ থেকে একটা চাকরি কুড়িয়ে তার হাতে দিয়ে দেয়া হলো, হাসিমুখে চাকরি নিয়ে সে বাড়ি চলে গেলো। ঘটনা সেরকম না। বি.এ., এম.এ. পাস করা শতশত ছেলে শুকনো মুখে পথেঘাটে ঘুরছে!
হুমায়ূন আহমেদ (দ্বিতীয় মানব)
৪৩. কোনোকিছু দেখে হকচকিয়ে গেলেই যে জিনিসটা সত্যি, তা কিন্তু না। আমরা যখন স্টেজে ম্যাজিক শো দেখতে যাই তখন কী দেখি? তখন দেখি জাদুকর জুয়েল আইচ ইলেকট্রিক করাত দিয়ে একটা মেয়েকে কেটে দু’ভাগ করেছেন। ঘটনাটা সবার চোখের উপর ঘটলেও ঘটনা সত্যি না।
হুমায়ূন আহমেদ (দ্বিতীয় মানব)
৪৪. যে বাড়ীতে টিভি নেই, সে বাড়িতে কোনো কাজের লোক থাকেনা; এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য।
হুমায়ূন আহমেদ (কুটু মিয়া)
৪৫. একজন মানুষের অনেকগুলি চেহারা থাকে। একটি চেহারার সাথে অন্য চেহারার কিছুমাত্র মিল থাকেনা।
হুমায়ূন আহমেদ (এইসব দিনরাত্রি)
৪৬. মন খারাপের ব্যাপারটা হল একটা খারাপ গ্যাসের মতো। দরজা জানালা বন্ধ ঘরে এই গ্যাসটা আটকে থাকে। কাউকে মন খারাপের কথা বললে বন্ধ ঘরের জানালা খুলে যায়। তখন মন খারাপ নামক গ্যাসটা বের হতে পারে।
হুমায়ূন আহমেদ (মৃন্ময়ী)
৪৭. আমি মানুষ। আমি তো ভুল করবোই। আমি কি ফেরেশতা যে আমার ভুল হবেনা?
হুমায়ূন আহমেদ (আমার আপন আঁধার)
৪৮. মিথ্যা দু’রকমের আছে। হঠাৎ মুখে এসে যাওয়া মিথ্যা, আর ভেবে চিন্তে বলা মিথ্যা। হঠাৎ মিথ্যা আপনা আপনি মুখে এসে যায়। কোনাে পরিশ্রম করতে হয় না। ভেবে চিন্তে মিথ্যা বলাটাই কঠিন। এই মিথ্যা সহজে গলায় আসে না।
হুমায়ূন আহমেদ (বৃষ্টি বিলাস)
৪৯. একালের মেয়েগুলী ফাজিলের চুড়ান্ত, সহজ কথারও তিন রকম অর্থ করে মজা পায়।
হুমায়ূন আহমেদ
৫০. মেয়েদের আমি কখনো খুশি হলে সেই খুশি প্রকাশ করতে দেখিনি। একবার একটা মেয়ের সাথে সঙ্গে কথা হয়েছিল। সে ইন্টারমিডিয়েটে ছেলে-মেয়ে সবার মধ্যে ফার্স্ট হয়েছে। আমি বললাম, কি খুশি তো? সে ঠোঁট উল্টে বলল, উঁহু বাংলা সেকেন্ড পেপারে যা পুওর নাম্বার পেয়েছি। জানেন, মার্কশিট দেখে কেঁদেছি।
হুমায়ূন আহমেদ (এলেবেলে)