আসলে ওর লম্বা চুলই পছন্দ!
দীর্ঘ সাত বছর পর একটা মোড়ে দুই প্রাক্তনের হঠাৎ দেখা
– আমাকে দেখে অবাক হওনি ?
- ফ্রিল্যান্সিং কি?কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো?
- ক্রাশ এর সাথে প্রেম
- অসম্পূর্ণ ভালোবাসা | ছোঁয়া লেগেছিল মাএ
- হুমায়ূন আহমেদ স্যারের এর কিছু মজার উক্তি
- সে এসেছিল ,হারিয়ে যেতে – তানিয়া ত্বোহা
সৌরভ স্বাভাবিক ভঙ্গিতে মুচকি হেসে উত্তর দেয়,
– হয়েছি তবে তোমাকে দেখে নয়, তোমার লম্বা চুলগুলোকে দেখে।
রুমকি হয়তো খানিকটা ইতস্ততবোধ করে বলে,
– আসলে ওর লম্বা চুলই পছন্দ। তাই এখন আর আগের মত তিনমাস অন্তর অন্তর নতুন নতুন হেয়ার কাট করি না৷
– আচ্ছা ভালো তো। তারপর বলো কেমন আছো ?
– যেরকম থাকার কথা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি, সেরকম আছি। রুমকি একটু থেমে আবার বলতে শুরু করে,
– বাবার কথামতো বিয়েতে রাজি হয়ে যাওয়ার পর মনে মনে ভীষণ ভয় পাচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিলো আমি সুখী হতে পারবো না। তোমাকে ছাড়া ভালো থাকতে পারবো না। কিন্তু বিয়ের পর আর এক মূহুর্তের জন্যেও এমন ভয় বা শঙ্কা কাজ করেনি কখনো। কপালগুণে অসম্ভব ভালো একজন মানুষ পেয়েছি আমি। তার কথা বলতে গেলে সময় ফুরিয়ে যাবে কিন্তু কথা ফুরাবে না, বুঝলে ?শেষ কথাটা বলতে গিয়ে রুমকির ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাসি ফুটে ওঠে। সৌরভ স্থির দৃষ্টি নিয়ে সেই হাসির দিকে তাকিয়ে থাকে।
– কি হল? এভাবে কি দেখছো ?
– দেখছি তোমার সরলতাকে। এমন করে অবলীলায় কেউ তার প্রাক্তনের সামনে নিজের হাজবেন্ড এর গুণগান করতে পারে বলে জানা ছিল না।
– ওমা! এ আবার কেমন কথা! যা সত্যি তা বলবো না ? এটা কি কোনো নাটক সিনেমা নাকি যে প্রাক্তনের সামনে সবসময় দুঃখী দুঃখী চেহারা নিয়ে উদাসী হয়ে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে!
– তা অবশ্য ঠিক বলেছো।
– তুমি কেমন আছো ?
– যেমনটা আশা করেছিলাম তেমনই আছি।
সৌরভও একটু থেমে আবার বলতে শুরু করে,
– তুমি চলে যাওয়ার পর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম একজন সঠিক মানুষের জন্য। যে আমাকে তোমার দেওয়া দুঃখগুলো ভুলিয়ে দেবে। আমার সকল দূর্বলতাকে মেনে নিয়ে শক্ত হাতে আমাকে সামলে নেবে। আর আমাকে তোমার থেকেও অনেক অনেক বেশি ভালোবাসবে। ভাগ্যগুণে পেয়েও গেলাম সেই সঠিক মানুষটাকে। হ্যাঁ, সে খানিকটা দেরি করেই আমার জীবনে এসেছে কিন্তু তবুও এসেছে তো! অনেকে তো সময়ের আগে চলে এসে আবার সময়ের আগেই চলে যায়।
শেষ কথাটা যে রুমকিকে উদ্দেশ্য করে বলা, তা রুমকি ভালো করেই বুঝতে পেরেছে। কিন্তু কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। বরং কৌশলে প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলে;
– তা এখানে কেন এসেছিলে ? কোনো দরকারে নাকি এমনিই.?
– বেলী ফুলের মালা কিনতে এসেছিলাম। বউয়ের হুকুম প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার সময় তার জন্য একটা করে বেলীফুলের মালা নিয়ে যেতে হবে। বিয়ের পর থেকে এভাবেই চলছে আর কি।
– ও আচ্ছা। কিনেছো বেলী ফুলের মালা ?
– না। যে বাচ্চা মেয়েটা মালা বিক্রি করে, আজ ওকে দেখতে পাচ্ছি না। দেখি অন্য কোথাও পাই কিনা। বাই দ্যা ওয়ে, তুমি কেন এসেছিলে ?
– মালাই চা খেতে এসেছিলাম।
– একা একা ?
– আরে না। ভেবেছিলাম এখানে এসে ওকে কল করে বলবো অফিস থেকে ছুটি নিয়ে চলে আসতে। প্রায়ই করি এমন। কিন্তু আজ তো তোমার সাথে কথা বলতে বলতে দেরি হয়ে গেল।
– হ্যাঁ আমারও দেরি হয়ে যাচ্ছে। অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বের হলাম যেন জলদি বাড়িতে ফিরতে পারি। তা আর হল কই! আরো দেরি করলে জ্যামে পড়তে হবে নিশ্চিত৷
খানিকক্ষণের মধ্যে একে অপরের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যে যার পথে হাঁটা শুরু করলো।
বাড়িতে ফিরে ফ্রেশ না হয়েই সৌরভ দুটো বেলী ফুলের মালা তার বউয়ের দিকে এগিয়ে দিতেই চোখমুখ কুঁচকে বউ তার দিকে তাকালো,
– তোমাকে না কতদিন বলেছি এসব ঢং আমার ভালো লাগে না
সৌরভ কোনো প্রতিউত্তর না দিয়ে শুধু একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। তারপর ফ্রেশ হতে চলে যায়। ওয়াশরুম থেকে সে তার বউয়ের গলা শুনতে পায়। গলা উঁচিয়ে বউ তাকে উদ্দেশ্য করে বলছে,
– অনলাইনে একটা কমদামী শাড়ি অর্ডার করেছি। ৪০০০টাকা কাল অফিসে যাওয়ার আগে রেখে যেও। আমি মায়ের বাড়ি যাচ্ছি। রাতে ওখানেই থাকবো। আর শোনো রান্না করার সময় একটু সাবধানে কাজ করো৷ গতবার রান্নাঘরের বারোটা বাজিয়ে রেখেছিলে। সেগুলো পরিষ্কার করানোর জন্য কাজের মাসিকে বাড়তি ৫০০টাকা দিতে হয়েছে। মেকআপ কেনার বাজেটে টান পড়েছিলো পরে।
সৌরভ বেসিনের আয়নার দিকে তাকিয়ে অন্যান্য দিনের মত আজও রুমকির সাথে মনে মনে কথা বলা শুরু করে দেয়;
– তুমি আমাকে আজও বুঝতে পারলে না রুমকি! চোখের মিথ্যে অভিনয় ধরতে পারলে না! মোড়ে আমি কখনো বেলী ফুলের মালা কিনতে যাই না, যাই তোমার স্মৃতিচারণ করতে।
ড্রেসিংটেবিলের আয়নার সামনে বসে একমনে আয়নায় নিজেকে দেখছে রুমকি। পিঠ সমান চুলগুলো সামনে এনে কাঁধের একপাশে ছড়িয়ে রেখে ভাবছে,
– নতুন নতুন হেয়ার কাট দেয়ার মতো মানসিক বা আর্থিক সুখ কোনোটাই যে নেই এখন আমার। অথচ তুমি বুঝতে পারলেই না আমি আসলে ঠিক কতখানি সুখী।
সে আমার লম্বা চুল পছন্দ করে ঠিকই কিন্তু ভালোবেসে নয়, বরং প্রতিরাতে মাতাল হয়ে এসে যেন আমার চুলের মুঠিটা আয়েশ করে ধরতে পারে সেজন্য।
মোড়ে গিয়ে আমি কখনোই ওকে কল করে অফিস থেকে চলে আসতে বলি না একসাথে মালাই চা খাওয়ার জন্য।
বরং মনে মনে প্রার্থনা করি, সে যেন ঘুণাক্ষরেও টের না পায় যে আমি আমার প্রাক্তনের স্মৃতিচারণ করতে এখানে আসি।
বরাবরের মতো আজও আমাকে অন্ধের মত বিশ্বাস করে গেলে সৌরভ ।
ওর লম্বা চুলের প্রতি ভালোবাসা
লম্বা চুলের প্রতি তার একটি গভীর মুগ্ধতা রয়েছে, যা শুধু বাহ্যিক নয় বরং অভ্যন্তরীণ আত্মতৃপ্তির প্রতিফলন। প্রাচীনকাল থেকেই লম্বা চুল সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে, এবং ওর ক্ষেত্রেও এটি আলাদা কিছু নয়। তার চুল যেনো তার আত্মবিশ্বাস ও ব্যক্তিত্বের প্রতিচ্ছবি। এই চুল তার জীবনের একটি অংশ, যা তাকে আনন্দ দেয় এবং মনোবল জাগ্রত করে।
লম্বা চুল রাখার কারণ ওর পছন্দ
লম্বা চুল রাখা ওর জন্য শুধুমাত্র একটি ফ্যাশনের ব্যাপার নয়; এটি তার নিজের প্রতি এক ধরনের ভালোবাসা। চুলের প্রতিটি গোড়ায় সে তার অস্তিত্বের সাথে এক অদৃশ্য সংযোগ অনুভব করে। ওর মতে, লম্বা চুল তাকে একটি অনন্য ব্যক্তিত্ব দেয় এবং সে এই বৈশিষ্ট্যটি নিয়ে গর্বিত। এমনকি তার মতে, এই চুল তার স্বতন্ত্রতার প্রতীক, যা তাকে ভিড়ের মধ্যে আলাদা করে তুলে।
কেন ওর লম্বা চুলই প্রিয়?
তার লম্বা চুলের প্রতি প্রিয়তা আসলে একান্তই তার নিজের স্বাদ ও শৈলীর বহিঃপ্রকাশ। সোজা, ঢেউ খেলানো কিংবা কার্লি; তার চুল যেভাবেই থাকুক না কেন, প্রতিবার দেখলে মনে হয় নতুনত্বে ভরা। সে বিশ্বাস করে যে তার চুলই তার ভেতরের সৌন্দর্যকে প্রকাশ করে এবং তার আত্মবিশ্বাসকে বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতি এই আকর্ষণই তাকে চুলের প্রতি এতটা নিবেদিত করেছে।
ওর পছন্দের লম্বা চুলের যত্ন নেওয়ার উপায়
ওর লম্বা চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু পন্থা রয়েছে। প্রথমত, প্রতিদিন নিয়মিতভাবে তেল ব্যবহার করা এবং সঠিক শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার প্রয়োগ করা তার রুটিনের অংশ। তাছাড়া, চুলের গভীর পুষ্টির জন্য মাঝে মাঝে মেথির প্যাক বা আয়ুর্বেদিক হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করে থাকে। তার মতে, প্রাকৃতিক উপাদানগুলো চুলকে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখে এবং এর শোভা বৃদ্ধি করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা, সঠিক খাদ্য গ্রহণ করা এবং নিয়মিত ট্রিম করা চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় অপরিহার্য।
লম্বা চুলের প্রতি ওর ভালোবাসার কারণ
লম্বা চুলের প্রতি তার ভালোবাসার মূল কারণ হলো এটি তাকে একটি স্বতন্ত্র পরিচয় দেয়। তার মতে, লম্বা চুল নারীত্ব ও কোমলতার প্রতীক এবং এই চুলের মাধ্যমেই সে নিজেকে প্রকাশ করতে পারে। তার এই ভালোবাসা তাকে আরও অনুপ্রাণিত করে, যেন সে নিজেকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারে। চুলের এই সৌন্দর্য তার ব্যক্তিত্বে এমন এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে যা সে গভীরভাবে অনুভব করে।
লম্বা চুলের প্রতি ওর আকর্ষণের রহস্য
ওর লম্বা চুলের প্রতি আকর্ষণের রহস্য অনেকটাই তার নিজের অনুভূতির সাথে জড়িত। সে বিশ্বাস করে যে লম্বা চুল তার জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা তার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে এবং তাকে নিজের প্রতি আরও বেশি দায়বদ্ধ করে তোলে। লম্বা চুলের নরম ও উষ্ণ পরশ তার জীবনে এক ধরনের প্রশান্তি এনে দেয় এবং এই অনুভূতির কারণেই চুলের প্রতি তার ভালোবাসা আরও দৃঢ় হয়ে ওঠে।
ওর লম্বা চুলের প্রতি আকর্ষণ: কারণ ও ব্যাখ্যা
ওর মতে, লম্বা চুল তার শৈলী এবং রুচির প্রতিফলন। এই চুল তাকে আত্মবিশ্বাসী ও স্বতন্ত্র করে তোলে। ওর কাছে, লম্বা চুল মানেই এক ধরনের সৌন্দর্য এবং কোমলতা, যা তাকে আরও আকর্ষণীয় ও মাধুর্যমণ্ডিত করে তোলে। তার লম্বা চুলের প্রতি এই আকর্ষণ একেবারেই ব্যক্তিগত এবং একান্ত। এটি কেবল বাহ্যিক আকর্ষণ নয় বরং তার অন্তরের সৌন্দর্যের প্রতীক।
কেন ওর লম্বা চুলে বিশেষ আকর্ষণ আছে
ওর লম্বা চুলে বিশেষ আকর্ষণ আছে কারণ এটি তাকে পরিচিত করে দেয় এক বিশেষ ভঙ্গিতে। চুল তার ব্যক্তিত্বকে আরও উজ্জ্বল করে তুলে ধরে এবং তাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। লম্বা চুলের পরিপাটীতা ও ভরপুর সৌন্দর্য তার চলাফেরায় এক ধরনের মাধুর্য এনে দেয়। এই অনুভূতি তাকে প্রতিদিন চুলের প্রতি আরও যত্নশীল করে তোলে।
লম্বা চুল রাখতে পছন্দ করে কেন?
লম্বা চুল রাখা ওর একান্ত ইচ্ছা। সে মনে করে, এই চুল তার ব্যক্তিত্বকে সম্পূর্ণতা দেয় এবং তার সৌন্দর্যের প্রতিফলন ঘটায়। লম্বা চুলের নিজস্ব একধরনের আকর্ষণ থাকে, যা ওর মনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলে। চুলের সৌন্দর্য তার কাছে একধরনের সৃজনশীলতা, যা তাকে প্রতিদিন নতুন ভাবে নিজেকে দেখতে অনুপ্রাণিত করে।
ওর লম্বা চুল পছন্দের কারণ ও এর গুরুত্ব
ওর লম্বা চুলের প্রতি ভালোবাসার পেছনে রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুভূতি। এই চুল তার সত্তার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা তাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। লম্বা চুল তার কাছে একটি প্রতিজ্ঞা ও যত্নের নিদর্শন। চুলের এই সৌন্দর্য তাকে মানসিকভাবে আরও দৃঢ় করে তোলে এবং সে বিশ্বাস করে, এই চুলের মাধ্যমে সে নিজের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য হতে পারে।