রিক্সাওয়ালার প্রেম ছোট্ট বাজারের বড় ভালোবাসা

akhi akter

রিক্সাওয়ালার প্রেম ছোট্ট বাজারের বড় ভালোবাসা

কিছুক্ষন পর আম্মা খাবার নিয়ে আসলো।
মা কি কি রানছো?
ঘরে তো তেমন কিছু আছিল না। কচুশাক আর আলু ভর্তা।
বাহ। আজ তো অনেক মজার খাবার। অনেক দিন পর আলু ভর্তা খামু।
হইছে। আর কতা না কইয়া খা এখন।
তুমি খাবা না?
হ তুই আগে খাইয়া নে। তারপর।
না। চলো একসাথে খাই।


আইচ্ছা। এরপর আমি আর আম্মা একসাথে খাওয়া শেষ করলাম৷ খাওয়া শেষে আমি কিছুক্ষন পড়ে শুয়ে পড়লাম।

পরদিন অনেক দেরি করে ঘুম থেকে উঠলাম। শুক্রবার তো তাই। উঠে হাত মুখ ধুয়ে খাবার খেয়ে চলে গেলাম বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে। অনেক দিন আড্ডা দেওয়া হয় না। আড্ডা দিতে এসে দেখি রতন, মকবুল,করিম সবাই একসাথে।


আরে কিরে তুই হঠাৎ এইহানে?(মকবুল) হ রে। অনেক দিন তগো লগে আড্ডা দেই না। তাই আইজ আইলাম।

এই একখান কতা কইছস সানি৷ (রতন)
আইচ্ছা আইজ বিকালে সবাই থাহিস। অনেক দিন একলগে ঘুরা হয় না৷ আইজ সবাই মিল্লা গুরতে যামু।
চল সবাই মিল্লা করিম ভায়ের দোকানে যাই। (রতন।)

আইচ্ছা চল। এরপর সবাই মিলে রতন ভায়ের দোকানে আসলাম। দোকানে বসে দুপুর পর্যন্ত আড্ডা দিয়ে বাড়ি এলাম। বাড় এসে গোসল করে নামাজ পড়ে এসে দিলাম একটা ঘুম। ঘুম ভাংলো মায়ের ডাকে।
কি আম্মা এত ডাকতাছ কেন?


রিক্সাওয়ালার প্রেম ছোট্ট বাজারের বড় ভালোবাসা

মকবুল, রতন, করিম এরা আইছে।কই নাকি যাবি।? আমি তারাতারি ঘুম থেকে উঠে পরলাম। ঘুম থেকে উঠে ওদের সংগে ঘুরতে বের হলাম। হাটতে হাটতে অনেক দূরে চলে এলাম।

অনেক দূরে আইসা পরছি এহন চল যাওয়া যাক। (মকবুল)
আরে এতো তারাতারি যাইয়া কি করবি?(রতন)

হুম। রতন ঠিক কইছে। (করিম) আমরা আরও সামনে যেতে লাগলাম। যেতে যেতে আশাদের বাসার সামনে এসে পরেছি। হঠাৎ পিছন থেকে কেও আমার নাম ধরে ডাকলো। আমি পিছনে চেয়ে দেখি আশা।
আরে আফা আপনে?

-‘ঃ হুম অনেক্ষন থেকে ডাকছি। শুনতেই পান না।
আসলে আমি খেয়াল করি নাই। অনেক দিন পর বন্ধুদের সংগে হাটতে আইছি তো তাই।

ওহ। আর এরা আপনার বন্ধু?(সবাই কে দেখিয়ে)
হ। এরপর আমি আশার সাথে সবার পরিচয় করিয়ে দিলাম।
আচ্ছা। তো সবাই বাসায় আসেন?
না আফা হাটতে হাটতে অনেক দূরে আইসা পরছি। এহন। যাওন লাগবো।

ঃবাড়ির কাছে এসে চলে যাবেন।
হ আফা যাই। চল সবাই। যাইগা। (সবাইকে উদ্দেশ্য করে) এরপর আমরা সবাই বাড়িতে এসে পরলাম। বাড়িতে এসে কিছুক্ষন পড়লাম। পড়তে পড়তে কখন যে টেবিলেই ঘুমিয়ে পরছি যানি না। যাই হোক উঠে খাবার খেয়ে আবার বেরিয়ে পড়লাম রিক্সা নিতে। মহাজনের থেকে রিক্সা নিয়ে বেড়িয়ে পরলাম ভাড়ার উদ্দেশ্যে। ইদানিং গরম পরছে অনেক।

রিক্সা চালাইতে অনেক কস্ট হয় । কি করমু আর বলেন। আর মাত্র কয়েকটা বছর। অনার্সটা শেষ করে কিছু একটা করতে হবে। রিক্সা চালাতে চালাতে হঠাৎ দেখি আশা একটা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে। আমি কাছে গিয়ে ডাক দিলাম।
আরে আফা আপনি এইহানে কেন?


হুম। অনেক্ষন থেকে দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু রিক্সা পাচ্ছি না।
ওহ। চলেন। আমি বাড়িতে যাইতাছি আফনেরেও নামাই দেই।
আচ্ছা চলেন। বলেই আশা রিক্সায় উঠে পরলো।
আচ্ছা সানি আপনার আব্বু কিভাবে মারা গেছে তা তো বললেন না?(আশা)


আফা আমিযহন ক্লাস ৪ এ পড়ি তহন আব্বা মারা যায়। এর আগে ৮ বছর বিছানায় পইড়া ছিল।
অহ। তাহলে তো আপনি তখন অনেক ছোট।


হ আফা। আব্বা যহন অশুকে পরছে আমি তহন হাটি মাত্র।
বলেন কি?
হ আফা। আইচ্ছা আপনার বাসায় আইসা পরছি।


হুম নামিয়ে দেন। আর একদিন আপনার কাছ থেকে সম্পুর্ন ঘটনা শুনবো।
আইচ্ছা। এহন যাই।
আরে ভাড়া তো নিয়ে যান?
নাহ। থা……….

Leave a comment