প্রকৃতির ডাক
প্রকৃতি হাতছানি দিয়ে ডাকে
হারাতে ইচ্ছে হয় পাহাড়ি নদীর বাঁকে,
দুর্গম পথ পেরিয়ে পাহাড় জয়ের নেশা
প্রকৃতির একান্ত সান্নিধ্যে নিজেকে ভালোবাসা।
বর্ষায় প্রপাতের সৌন্দর্য দেখার বড় স্বাদ
জুম ঘরে বসে বৃষ্টি দেখার আহ্লাদ,
পিচ্ছিল পাথুরে পথে দুঃসাহসিক অভিযান
দুর্গম বন পেরেবো হাতে নিয়ে প্রান।
পশু পাখির কলোরবে মুখরিত চারিধার
এখানে ফিরতে মন চায় বারংবার,
ক্লান্তি শেষে ঝিরির ঠান্ডা জল পান
একমুঠো জুৃম ভাতে দেহ ফিরে পায় প্রান।
চূড়োয় বসে নক্ষত্ররাজির মাঝে দিবো ডুব
এমন জোসনা রাত্রির সান্নিধ্য চাই খুব,
প্রকৃতি দেবী তোমার কোলে দিও ঠাই
তোমাকে জানার আশায় অজানাতে হারাই
মায়াবী
সন্ধ্যার আকাশে শঙ্খচিলের দল উড়ে
বাগানে প্রজাপতি দল বেধে ঘুরে ফিরে,
হাসনাহেনা ফুলে সুভাসিত চারিধার
প্রকৃতির মাঝে খুজে পাই শ্রান্তির পারাবার।
গগনে শুভ্র চাঁদ নক্ষত্রের সাথে হাসে
কোমল মায়াবী আলোয় চারিপাশ ভাসে,
কোথা হতে গুনগুন করে পাখি গেয়ে উঠে গান
ঝর্নার পানি তার সাথে দেয় কলতান।
নদীর জলে ময়ূরপঙ্খি যায় দেখা
প্রকৃতির প্রতি পরতে অপরূপ স্নিগ্ধতা,
ফড়িং এর মতো মন ছোটে দর্শনে
প্রকৃতি ভিন্ন সাজ ভিন্ন ঋতুর আগমনে।
প্রকৃতির উদার দান মানবের তরে
অজস্র ডালিতে তার রূপের সৌন্দর্য ঝরে,
চর্মচক্ষুর স্বার্থকতা-
প্রান ভরে প্রাকৃতির সান্নিধ্য গায়ে মাখা।
প্রেমের সন্ধি
যদি শুষ্ক ভূমি হতে তুমি,
বৃষ্টি হয়ে তোমায় ভেজাতাম আমি।
আকাশের বিশালতা মাখতে যদি গায়ে,
সাগর হয়ে ছুয়ে দিতাম গুটিগুটি পায়ে।
সূর্যের মতো তেজে দীপ্ত যখন হবে
তোমার তেজস্বীতা আমায় পোড়াবে,
অমাবস্যায় যখন ছেয়ে যাবে মন
চাঁদের হাসি এনে দেব; অভিমান বারণ।
শিমুল হয়ে ঝরতে রাজি যদি তুও চাও
কাঠগোলাপ ভেবে আমায় ছুয়ে দাও,
তৃষ্ণা মেটাতে তোমার হতে পারি ঝর্না
তোমার মেটাতে স্বাদ হবো অন্নপূর্ণা।
হরিৎ বনে চলো গড়বো কুড়ে-
শান্তির ঠিকানা, হারাবো নীড়ে;
প্রকৃতি প্রেমের মতো ভালোবাসো আমায়
তৃষ্ণার্ত এই বুকে আগলাবো তোমায়।
Thank you for your sharing. I am worried that I lack creative ideas. It is your article that makes me full of hope. Thank you. But, I have a question, can you help me?