জীবনানন্দ দাশ বাঙালি সাহিত্যে এক মহান নাম। তার কবিতায় অনুভূতি আর ভাবনার অদ্ভুত সংমিশ্রণ রয়েছে। তিনি সমাজের মূল্যবান বিষয়গুলি সমৃদ্ধ করে তুলেছিলেন যেমন মানুষের জীবন, প্রেম, এবং দৈনন্দিন সমস্যা।
জীবনানন্দের কবিতায় সত্য ও সুন্দরতার মিশ্রণ রয়েছে সব নিয়ে। তার শব্দে অনেকগুলি প্রেমের কবিতা এবং মানুষের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা ছড়ায়। সে অনুভূতি ও সুন্দরতা যেমন মূল্যায়ন করেছিলেন, সেগুলি আমাদের জীবনে সত্য ও মার্গনির্ধারক।
জীবনানন্দের কবিতায় দৃশ্যচিত্রণ করা মানবতা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যর মধ্যে এক মিলনসার। তার শব্দে জীবনের রহস্যময় সম্ভাবনা এবং নানান রঙের সুন্দরতা প্রকাশ পায়।
জীবনানন্দ দাশ নির্দিষ্টভাবে মানুষের অনুভূতি এবং ভাবনার অধ্যয়ন করেন যাতে তার কবিতা মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী অনুভূতি প্রকাশ করে।
কুড়ি বছর পরে
(জীবনানন্দ দাশ – বনলতা সেন)
আবার বছর কুড়ি পরে তার সাথে দেখা হয় যদি!
আবার বছর কুড়ি পরে-
হয়তো ধানের ছড়ার পাশে
কার্তিকের মাসে-
তখন সন্ধ্যার কাক ঘরে ফেরে-তখন হলুদ নদী
নরম নরম হয় শর কাশ হোগলায়-মাঠের ভিতরে!
অথবা নাইকো ধান ক্ষেতে আর,
ব্যস্ততা নাইকো আর,
হাঁসের নীড়ের থেকে খড়
পাখির নীড়ের থেকে খড়
ছড়াতেছে; মনিয়ার ঘরে রাত,
শীত আর শিশিরের জল!
জীবন গিয়েছে চলে আমাদের
কুড়ি কুড়ি বছরের পার-
তখন হঠাৎ যদি মেঠো পথে পাই
আমি তোমারে আবার!
হয়তো এসেছে চাঁদ মাঝরাতে
একরাশ পাতার পিছনে
সরু সরু কালো কালো
ডালপালা মুখে নিয়ে তার,
শিরীষের অথবা জামের,
ঝাউয়ের-আমের;
কুড়ি বছরের পরে তখন তোমারে নাই মনে!
জীবন গিয়েছে চলে আমাদের
কুড়ি কুড়ি বছরের পার-
তখন আবার যদি দেখা হয় তোমার আমার!
তখন হয়তো মাঠে হামাগুড়ি দিয়ে পেঁচা নামে
বাবলার গলির অন্ধকারে
অশথের জানালার ফাঁকে
কোথায় লুকায় আপনাকে!
চোখের পাতার মতো নেমে চুপি চিলের ডানা থামে-
সোনালি সোনালি চিল-শিশির
শিকার করে নিয়ে গেছে তারে-
কুড়ি বছরের পরে সেই
কুয়াশায় পাই যদি হঠাৎ তোমারে!
- ফ্রিল্যান্সিং কি?কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো?
- ক্রাশ এর সাথে প্রেম
- অসম্পূর্ণ ভালোবাসা | ছোঁয়া লেগেছিল মাএ
- হুমায়ূন আহমেদ স্যারের এর কিছু মজার উক্তি
- সে এসেছিল ,হারিয়ে যেতে – তানিয়া ত্বোহা
জীবনানন্দ দাশের একজন অসাধারণ কবি, যার কবিতা জীবনের নানা আয়ামে অবদান রেখেছে। তার কবিতায় প্রেম, সৃষ্টি, নারী, প্রকৃতি এবং সমাজের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তার কবিতার মাধ্যমে পাঠকদের বিভিন্ন সমস্যা, চিন্তা, আকাঙ্খা ও ভাবনা জাগ্রত করা হয়েছে।
জীবনানন্দ দাশের কবিতার গভীর ভাবনা এবং বিশেষ শৈলী অবদান রেখেছে বাংলা সাহিত্যে। তার কবিতার মাধ্যমে মানুষের মানসিক অবস্থা, প্রেমের আদর্শ, সমাজের সমস্যা এবং মানুষের সংগ্রামের চিত্র বিবরণ করা হয়েছে।
জীবনানন্দ দাশের কবিতার সৌন্দর্য ও সার্থকতা জনপ্রিয় হওয়া এক অগ্রণী কারণ। তার কবিতায় রয়েছে গভীর ভাবনা, কাহিনীর ভাব, সৌন্দর্যের প্রশংসা, বিস্ময় ও সম্পূর্ণতা।
জীবনানন্দ দাশের কবিতা মূলত প্রেম, সৃষ্টি, প্রকৃতি এবং মানুষের জীবনের নানা দিকের উপর ভিত্তি রাখে। তার কবিতার মাধ্যমে প্রেমের আদর্শ, প্রকৃতির সৌন্দর্য, নারীর অবস্থা, সমাজের অবস্থা ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
জীবনানন্দ দাশের কবিতা তার সৃষ্টিতে অদ্বিতীয় মনোমুগ্ধতা এবং অপূর্ব সৌন্দর্য রয়েছে। তার কবিতার সাহিত্যিক মান ও শিল্পীত্ব একে অপরকে পূরণ করে এবং পাঠকদের জীবনের নতুন আলোকে আলোকিত করে।
জীবনানন্দ দাশের কবিতা প্রতি প্রকাশনায় তার প্রতিভার মাধ্যমে আরও মহত্ত্বপূর্ণ হয়ে উঠে এবং একাধিক পাঠকের হৃদয়ে স্থায়ী আসর ছাড়ায়। তার কবিতা অবশ্যই পাঠকের মনে স্থায়ী প্রভাব ফেলে এবং তার প্রতিটি শব্দে জীবনের সত্যের খোঁজে নতুন আলোর আকাশ চাইতে ক্রমশ সমৃদ্ধ