দারিদ্র্যতা সমাজের অভিশাপ

Eva Binte Anwar
দারিদ্র্যতা সমাজের অভিশাপ

দারিদ্র্যতা সমাজের অভিশাপ

দারিদ্রতা হল মানুষের জীবনে সবচাইতে বড় অভিশাপ । একমাত্র দারিদ্রতাই পারে যেকোন মানুষকে খারাপ কাজ করতে ।

কোন মেয়ে সমাজের সামনে নিজের শরীরকে নিজের স্বার্থে বিসর্জন দেয় না । কারণ এই সমাজের কিছু কিছু প্রভাবশালী ও বড়লোক মানুষদের মুখোশের আড়ালে রয়েছে সমাজের ধর্ষক ।
তারাই বাধ্য করে এই অসামাজিক কাজ করার জন্য । এরা টাকার জোরে এই ধরনের কাজ করায় আর দারিদ্রতা তাদের এই কাজ করতে বাধ্য হয় । এটাই হল সমাজের চরম সত্য ।

‘বাবু পা টা তুলে বসুন না’,
ফ্লোরটা মুছতে মুছতে বলে জানকী।
তিষান পা টা তুলে বসে সোফাতে।
মোবাইলে ব্যস্ত কাজে। না, কাজ নয়।
বসে বসে ক্লিভেজের ভিডিও করছেন।
ভদ্র ভাষায় বললে, হস্তমৈথুনের উপকরণ তৈরি করছেন।

এগুলো জানকীর সব জানা। অভিজ্ঞতা তাকে মানুষ চিনিয়েছে।
কতরকম ‘ভদ্র মানুষ’ দেখল সে।
কেউ ফিসফিস করে শুনিয়ে শুনিয়ে বলে ‘শালা, খাসা মাল একখানা’, বাবুদের ফ্ল্যাটে বন্ধুবান্ধব এলে কেউ কেউ বলে, ‘
এরকম চামর মাল রেখেছিস ‘কাজে’র জন্য! লাগিয়ে যা…’।
এই তো গত রবিবার শরৎবাবু ফ্ল্যাটের ডোরটা লক করে এসেই ওর পেছনটা খামচে ধরে, ওর ঘাড়ে জিভ দিয়েছিল। আবার অনেকে পেমেন্টও দেয় আলাদা এর জন্যে।
আবার তিষানের মতো আইটি সেক্টরে সার্ভিস করা যুবকরা, ‘দিদি’ বলে ডেকে ভদ্র ইমেজ বানিয়ে রোজ প্যাসিভ্লি রেপ করে।

দারিদ্র্যতা সমাজের অভিশাপ
দারিদ্র্যতা সমাজের অভিশাপ

জানকী জানে সব। চুপচাপ থাকে। কাউকে কিছু বলে না। ‘না’ বললে তার সংসার চলবে না। তবে অনেকেই আছেন, ওর ছেলের জন্য কৌটোতে একটু মাটনকারী বা কখনও একটু কেকও দেন।

ছেলের সবে ক্লাস থ্রি। জানে, সামনে অনেক খরচ। তাই সেভিংস অ্যাকাউন্টে অল্প অল্প করে জমায়। আবার সেখান থেকে কবে কুড়ি টাকা, পঞ্চাশ টাকা করে কেন কেটে নেয় সে বুঝতে পারে না।
অ্যাক্সিডেন্টে স্বামী গত হয়েছে পাঁচটা বছর হতে চলল। তার শরীর আর ভালোবাসার ছোঁয়া পায় না। কেউ আর আগের মতো ওর কানের ওপরে চুলটা তুলে কানে ঠোঁট ছোঁয়ায় না।

জানকীর দিন কাটে শুধু শরীর নিয়ে। তার দর্শনে, চোখ-মুখ, নাক কানে’র মতো স্তন, যোনী আর দুটি অঙ্গ মাত্র। কোনো বাবু তার কাপড় টেনে খুললেও তার অনুভূতি নেই।
তবে বাবুদের আনন্দের বাঁধ ভাঙতে উহহ-আহহ শব্দ করতে সে ভোলে না। সে শুধু এটুকু জানে, ছেলেটার সবে ক্লাস থ্রি, সামনে অনেক খরচ….

Leave a comment