পর্ব ১
আমার নাম সাব্বির। বয়স ১৮।পড়া শুনা কেবন মাএ একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি।তাও আবার সায়েন্স থেকে।
সায়েন্স এ পড়ার ইচ্ছা না থাকার শর্তে ও বাবার কথায় সায়েন্স এ ভর্তি হতে হয়েছে।

কি আর করা, জীবন টা তো তেজ পাতা হয়ে গেছে,

স্কুল জীবনটা ও গেছে হোস্টেল থেকে,,,
ভাবছিলাম হয়তো কলেজ এ গেলে মানবিক থেকে পড়বো,আর চিল করবো,

কিন্তু সবার কপালে কি সব কিছু ঝুটে না কি,,
সায়েন্স থেকে তো ভর্তি করাইছে,,আবার যে কলেজ এ ভর্তি করাইছে, ঐই টা একটা করাগার কলেজ সবাই বলে,,,

বাবা মায়ের বাধ্য সন্তান তাই যা বলে তাই শুনি,,

কলেজ এর প্রথম দিন,, ভাবছিলাম হয়তো কোন একটা সুন্দর মেয়ে দেখবো,,কিন্তু কি আর করা কপাল তো আমার আগে থেকেই খারাপ,,

কলেজে প্রথম দিনে গিয়ে দেখি ক্লাস শুরু সবকিছু সিরিয়াসলি হইতেছে,,,


কিন্তু আমার কাছে কিছুই ভালো লাগতো না

হঠাৎ একদিন একটা মেয়েকে দেখি

মেয়েটা পর্দা করতো তাই তার মুখটা দেখা যায়নি

এই মেয়েটা কারো সাথে কথা বলতে না ক্লাসের একটা পাশে একা একা বসে থাকতো

তার আচরণগুলো দেখে আমার কাছে কেমন কেমন লাগতো,, সে সবার থেকে আলাদা ছিল,,,
শুধু তার চোখ গুলা দেখা যাইতো

এগুলা দেখে হয়তো আমি তার উপর ক্রাশ খাইছিলাম

অনেক চেষ্টা করছিলাম তার সাথে কথা বলতে কিন্তু কোন ভাবে পারিনি,,

সে এক আজব মানুষ

এখন কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যটা হয়তো সে ,,,

প্রতিদিন কলেজে যায় শুধু তাকে দেখার জন্য

এমন একটা অবস্থা ছিল তার নামটা পর্যন্ত জানতাম না,,

পরবর্তীতে আমাদের কলেজের রোল নম্বর দেওয়া হয়,,,
এরপর একটা সুযোগ পাই তার নামটা জানার জন্য,,

ক্লাসে গিয়ে দেখতাম যে রোল কল এর সময় সে কত নাম্বারে প্রেজেন্ট দিত,,,

প্রথম দিন খেয়াল করে উঠতে পারিনি সে কততে প্রেজেন্ট দিয়েছিল,,

পরের দিন জানতে পারলাম তার রোলটা,,

এর পর তার রোল টা দিয়ে তার নামটা জানতে পারলাম,,,

তার নাম ছিল উম্মে আয়মান মাওয়া

এরপর অনেক চেষ্টা করছিলাম ফেসবুক আইডিটা নেওয়ার জন্য কিন্তু কোন ভাবেই ফেসবুক আইডিটা পায়নি

এভাবে কয়েকটা দিন কেটে গেল

তারপর হঠাৎ করে একদিন তাকে আমি দেখতে পেলাম,, তার কিছু বান্ধবীর সাথে রাস্তায় হাঁটতে ছিল,, আর আড্ডা দিচ্ছিল,,

আমি তো চিন্তায় পড়ে গেছি,, আমি যাকে এত ভালো ভাবতাম সেও কি অন্যান্য মেয়েদের মত


এরপর পূজা জন্য,, কলেজ বন্ধ দেয়া হয়,,

যার কারণে তার সাথে আমার অনেক দিন দেখা হয় নাই,,,

কলেজে বন্ধুটা সবার ভালো কাটলোও,, আমার ভালো কাটে নাই,,

অনেকদিন পর কলেজ টা খুললো,, আমি অনেক খুশি হয়েছিলাম,, কারণ কলেজ খুললে তো তার সাথে দেখা হবে,,

কিন্তু আফসোস কলেজের প্রথম দিন সে কলেজে আসে নাই,,

পরের দিন গিয়ে দেখি পরের দিনও আসে নাই,,

কলেজ খোলার চারদিন পর সে কলেজে আসছিল,,,

তারপরও তাকে দেখে আমি খুশি হয়েছিলাম,,

কলেজ চলতেছে আর আমি কলেজে প্রতি দিন আসতেছিলা শুধু তাকে দেখার জন্য,,

এভাবে আরো দুই মাস কেটে গেল কিন্তু তার সাথে আমার কোন কথাই হয় নাই,,

পর্ব ২
বাসার ভেতরে সারাদিন বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত লাগতেছে ,,,,

তাই বিকেল বেলা বাসা থেকে বের হয়েছিলাম,,

কয়েকটা বন্ধুকে নক দিয়েছিলাম আমার সাথে বের হওয়ার জন্য কিন্তু কেউ বের হলো না,,

তারপর আর কি নিজে একা একা বাহিরের রাস্তার মধ্যে হাটতে ছিলাম,,

হঠাৎ করে একটি মেয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করল আপনি আমাদের কলেজে পড়েন না,,??

মেয়েটি আমাকে পিছন দিক থেকে জিজ্ঞেস করছিল,,
তাই আমি পিছন দিকে ঘুরলাম, সাথে সাথে দেখলাম যে এই মেয়েটি সেই মেয়ে


আমার মুখ দিয়ে কোন কথা বের হইতেছে না,,

আমি তার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকাই আছি,,

এরপর মেয়েটি আমাকে বলল এই যে শুনছেন,,

আমি তখন হতভম্ব হয়ে গেছিলাম,,, তারপর বলছি জ্বী শুনছি,,,

তারপর মেয়েটা বলল,: আপনি মেবি আমাদের কলেজের না??

আমি বললাম, : জ্বী হ্যাঁ।

মেয়েটা (মাওয়া):তো রাস্তা দিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন??

আমি:আসলে বাসায় বিরক্ত লাগছিল তাই বাইরে একটু হাঁটতে ছিলাম,, আর ফ্রেন্ডের বলছিলাম ওরা সবাই বিজি ছিল তাই কেউ আসে নাই তাই একা একা হাঁটতেছে,,

মাওয়া : ও আচ্ছা

আমি : আচ্ছা আপনি কোথায় যাচ্ছিলেন এখান দিয়ে??

মাওয়া : আসলে আমার প্রাইভেট ছিল প্রাইভেট পড়ে এখন বাসায় যাচ্ছিলাম,, তো পথে আপনার সাথে দেখা হলো,,

আমি :আপনাকে কি এখনই বাসায় যেতে হবে,? না হলো আমরা দুজন একসাথে হাঁটতে পারি!!

মাওয়া :সমস্যা নাই আমার বাসায় একটু পরে গেলেও হবে, চলেন কোথায় যাবেন,,!!

এভাবে দুজনে ভিতর কথা শুরু হল তারপর তাকে নিয়ে অনেক দূর গেলাম,,, ওই দিন অনেকক্ষণ কথা বলছি,,

সুযোগ পেয়ে তার থেকে তার ফেসবুক আইডি এবং নাম্বারটা সহ সবকিছুতে এড হলাম,,

এরপর রাতে বাসায় গিয়ে অনেকক্ষণ তার সাথে কথা বললাম চ্যাটিং করলাম,,

এখন আমি কলেজ যাওয়ার সময় তার সাথে যাই,,

এভাবে আমাদের দুজনের মধ্যে ফ্রেন্ডশিপ তৈরি হলো,,

এভাবে কেটে গেল আরও একটা মাস,,,,


কিন্তু আমি তাকে কোনদিন আমার মনের কথা কিছুই বলতে পারিনি,,,



এভাবে যত দিন যাইতেছে তার সাথে কথা বলা, আসা যাওয়া,,, সব কিছু তার সাথে সেয়ার করা,, যেন তার আরও বেশি মায়া বাড়তেছে,,,

এখন আমি এমন একটা অবস্থায় আছি কি করব কিছুই বুঝতেছি না ,,

শেষ পর্যন্ত আমি ডিসিশন নিলাম তাকে প্রপোজ করব,,

তাকে একটা রেস্টুরেন্টে আসার জন্য আমি বললাম,,

তাকে বললাম যে বিশেষ কারণে তার সাথে দেখা করতে চাইতেছি,,

সে আমাকে ইনবক্স এ একটা শাড়ীর পিক দিছিলো,,

আমি অনলাইন থেকে ওই শাড়ী টা নিয়েছিলাম,,

তার জন্য লাল গোলাপ নিয়েছি,,,

অবশেষ এ তার সাথে রেস্টুরেন্টের দেখা হল,,

কিন্তু আমি অবাক হইছি একটা বিষয় দেখে,,

সে একটা লাল শাড়ী পড়ে আসছে,,

আর তার হাতে গোলাপ ফুল,, আর একটা ব্যাগ ছিল,,
ব্যাগ এর ভিতর কি তা জানি না,,,

আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম,, তার থেকে আরও বেশি নার্ভাস হয়ে গেলাম,,

তো খাবার অর্ডার দিলাম তার জন্য,,
কিছুক্ষণ পর ও আমাকে জিজ্ঞেস করল যে কেন তাকে ডেকেছিলাম আজকে,,??

তার পর আমি বলার শুরু করলাম,,

আমি : আসলে আমি এত ঘুরিয়ে কথা বলতে পারি না,,
আমি তোমাকে যে দিন দেখেছি ওই দিনই তোমার মায়া পড়ে যায়,,

মাওয়া : কি?
আমি : তুমি এখন কথা বলো না,, আমি আগে সব কথা বলি তার পর তুমি বলিও,,

মাওয়া : আচ্ছা বলো,,

আমি: সত্যি বলতে কি,,,তোমার এই দুইচোখের মায়ায় আমি অন্ধ হয়ে গেছে,,





মাওয়া : (মুশকি মুশকি হাসতেছে)


আমি : কিছু তো বলো,,,,

মাওয়া : কি বলবো,,

আমি : আমি বুঝছি,,,, থাক কিছুই বলা লাগবে না,,,

মাওয়া : কি বুঝছো?

আমি : তুমি আমাকে পছন্দ করো না,,


মাওয়া : কচু বুঝছো!!

আমি : মানে?

মাওয়া : এইটা নাও,,,

আমি : কি এই টা?

মাওয়া : তুমি নিচে এ দেখ,,

দেখলাম যে একটা পাঞ্জাবি আর পায়জামা,,,,,

আমি : এই টা কার জন্য??

মাওয়া : যাকে দিয়েছি তার জন্য,,

আমি : ধ্যনবাদ!!


মাওয়া: (হাতে নিয়ে দেখলো) ওয়াও এইটা আমার জন্য!!!

আমি : হুম,,

তার পর আমি আর দেরি করলাম না,,,,,,

আমি : (হাতে গোলাপ তা নিয়ে হাটু গেরে বসে) মাওয়া,, আই রিয়েলি লাভ ইউ,,,,,



মাওয়া : (মাওয়া আমার থেকে গোলাপ টা নিলো)



একটু নিজে চিন্তা করলাম এইটা সে মেয়ে যে মেয়ে টা কে দেখে আমি ক্রাশ খাইছিলাম,,

তার পর থেকে শুরু হলো আমাদের মধ্যে এক নতুন অধ্যায়,,,,,,


চলবে………………


Thanks for sharing. I read many of your blog posts, cool, your blog is very good.