বজ্জাত বস থেকে রোমান্টিক হাজবেন্ড – এক আবেগময় যাত্রা
আজ আবির তিথির আমান রিতুর বিয়ে,,কাজ তো হবেই বাড়িতে সব কিছু বেস্ট যে করতে হবে,,,,,আবির তিথির কাছে যেতে ও পারছে না বড় মায়ের মানা আজ যাতে তিথি আর রিতুর সাথে আবির আমান একদম দেখা না করে একদম বিয়ের দিন,,,,আবির তো তার তোতাপাখিকে না দেখে থাকতে পারে না,,কত চেস্টা করছে দেখা করতে কিন্তু ব্যর্থ হয় বারবার,,,
- ভালোবাসার মাঝে ছুটে আসা কোন অনুভুতি
- হুমায়ূন আহমেদ এর অডিও বুক মন ভালো করার উপায়
- প্রেম কিভাবে একটি অলৌকিক ঘটনা? প্রেমের সংকেত গল্প
- আকাশে রোদ উঠেছে হঠাৎ বসন্তের আগমন বসন্তের ছোঁয়া
- ফ্রিল্যান্সিং কি?কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো?
আমানঃ আর কিছু ক্ষন পর তো ওরা এমনিতেই নিচে নেমে আসবে রেডি হয়ে,,,অপেক্ষা কর কিছু ক্ষন
আবিরঃ তোর কি এক পায়ে মুজা আর এক পায়ে সু
আমানঃ দিন দিন দেখি তিথির ভুঁত তোর ঘাড়ে চাপছে দেখতেছি
আবিরঃ চুপ থাক,,,একটু দেখতে ও পারছি না নিজের বউকে
আমানঃ আর তো কয়েকটা ঘন্টা শুধু তারপর তোর তিথি তোর
আবিরঃ এই কয়েক ঘন্টা তো আর ধৈর্য ধরতে পারছি না শুধু এক নজর দেখবো তারপর এসে যাবো চল ভাই প্লিজ
আমানঃ আমি কি পাগল মেহদী রাতের কথা মনে আছে তোর জন্য মেয়েদের শাড়ি পড়ে নাচতে হইছে
আবিরঃ তুই যাবি কি না তা বল
আমান ঃ না সর আমি গেলাম
আবির কি ভাবে কথা বলবে তিথির সাথে অই চিন্তায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে,,,আর না পেরে রেশমিকে অনেক রিকুয়েস্ট করে সামান্য সময়ের জন্য তিথিকে ছাদে নিতে রেশমি তিথিকে ছাদে নিয়ে যায়,,,রেশমি চলে যায় আবির তিথির পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে
আবিরঃ অনেক মিস করছি তোমায় তোতাপাখি অনেক
তিথিঃ আমিও অনেক করছি
আবিরঃ তাহলে দেখা করতে আসো নাই কেন?
তিথিঃ বড় মায়ের জন্য উনি বারণ করছে তাই,
আবিরঃ কবে থেকে এতো ভদ্র হলা যে বড় মায়ের কথা মানলে?
তিথিঃ বজ্জাত এনাকন্ডা আমি অনেক ভদ্র শান্ত কিউট ওকে
আবিরঃ হু হু বুজছি একটু বেশিও,,
তিথির কপালে আলতো করে চুমু দিয়ে বলে
আবিরঃ আজ আমার তোতাপাখিকে অন্য রকম লাগছে
তিথিঃ কেমন?
আবিরঃ বিয়ের দিন নাকি মেয়েদের আলাদা কিউট লাগে সেম আমার তোতাপাখি তো আরো বেশি কিউট তাকে তো আরো বেশি কিউট লাগছে,,,,
রেশমিঃ আবির পার্লারের মেয়েরা এসে গেছে তাড়াতাড়ি আয় ভাই,,আমাকে আজ মাইর খাওয়াবি তুই
তিথিঃ যেতে দিন প্লিজ
আবিরঃ আগে আমার কিস দিয়ে যাও তারপর
তিথিঃ পাগল নাকি লেট হচ্ছে ছাড়ুন তো
আবিরঃ আমার রেডি হতে বেশি সময় লাগবে না কিন্তু তোমরা যে আটা ময়দা মুখে লাগাবা অই গুলো তো মুখে লাগাতে কয়েক ঘন্টা লাগবে সো লেট তোমার হচ্ছে আমার না
তিথিঃ কি আমরা আটা ময়দা লাগাই হারামি লোক একটা সরেন(প্রচুর রেগে)
আবির তিথিকে টেনে নেয় বুকে আর জড়িয়ে ধরে বলে
আবিরঃ বাবারে আমার পাগলী টা যে পুরো রেগে লাল হয়ে আছে,,,আচ্ছা সরি এইবার তো প্লিজ রাগ না করে আমার কিস দাও না হলে ছাড়বো না ওকে,,,
তিথি আবিরের গালে আলতো করে চুমু দেয়,,
আবিরঃ আর এজটা প্লিজ
তিথি আবিরের গালে কামড় বসিয়ে হালকা ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে এসে যায়,,, আবির গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,,,
এই দিকে সব আওয়াজ মোটামুটি শেষ কাজি সাহেব ও এসে গেছে আমান আবির ও রেডি হয়ে গেছে,,,আর রিতু আজ কালো একটা লেহেঙ্গা পড়ে তার সাথে বারি গহনা,,, দারুণ লাগছে আজ রিতুকে,,,
আর আমাদের তিথিকে তো জাস্ট অসাধারণ মেহেরুন কালারের লেহেঙ্গা বারি গহনা মাথার এক পাশে গোলাপ ফুল তারপর মাথায় ঘোমটা,,,বউ সাজে যে আজ তিথিকে অসাধারণ লাগছে,,,,,,
পার্লারের মেয়েরা চলে যায়,, রিতু রিমানকে নিয়ে একটু ব্যস্ত তিথি তখন বলে উঠে
তিথিঃ চল রিতু আজ আমরা বরদের সাথে ডান্স করবো
রিতুঃ পাগল হয়ে গেছিস তুই হ্যাঁ
তিথিঃ কেন হ্যাঁ আমার বিয়েতে বুজি আমি ডান্স করবো না হুম,,,
রিতুঃ এতো বারি লেহেঙ্গা পড়ে গহনা পড়ে বউ সাজে তুই নাচবি তাও ছেলেদের মাঝে পাগল হইছিস যে তা কি সবাই কে বলবো
তিথিঃ নিজের বিয়েতে ও নাচতে পারি না দূর এমন বিয়ে হয় কি না,,
রিতুঃ চুপ থাক একটু পরে সবাই আসবে তখন ওদের বলিস,,,
তিথিঃ হু সর,,,,
রিতুঃ আচ্ছা শুন এখানে তো কেউ নাই সবাই হয়তো বর যাত্রী নিয়ে ব্যস্ত,,,তুই এক কাজ কর তুই বের হইস না আমি রিমানকে দিয়ে আসি ওকে,,,
রিতু চলে যায় তিথি বারান্দার দিকে যায় আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে উঠে
তিথিঃ কেমন লাগছে মা আজ আমায়,,,দেখো তোমার ছোট মেয়েটা আজ বউ সেজেছে,৷ জানো মা আজ যদি তুমি থাকতে তাহলে হয়তো বলতে বাহা আমার মেয়েকে তো অনেক সুন্দর লাগছে,,,হয়তো অই যে সব মায়েরা করে না চোখে পানি এনে কপালে চুমু দেয়,,,,মা আজ খুব নিস করছি তোমায় খুব বেশি,,জানো মা বাবা ও এসে গেছে আমার কাছে প্লিজ তুমি এসে যাও না আমার না তোমার কোলে মা রেখে ঘুমাতে খুব ইচ্ছে করছে খুব বেশি মা,,,,
তিথি বুকে হাত রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে তার অনুভূতি তার মাকে নিয়ে সব,,,অই সময় হঠাৎ দরজা লাগানোর আওয়াজ পায় পিছনে ঘুরে যা দেখে তিথি পুরো চমকে যায়,,,
তিথিঃ তুমি এখানে?
নিয়াঃ আমার সব কেড়ে নিয়ে তুমি সুখে থাকবে খুশি হবে তা তো আমি হতে দিতে পারি না তাই না,,,
নিয়া অনেক খুজ খবর নিয়ে এখানে এসে যায়,,,
নিয়াঃ শুধু মাত্র তোমার জন্য তিথি আমি সব হারিয়েছি আমার পাপ্পা আজ জেলে আমার আবির আজ আমাকে হেট করছে আমাকে বিয়ে না করে তোমার মত একটা থ্রাড ক্লাস মেয়েকে বিয়ে করছে,,
তিথিঃ নিয়া তোমার সাথে যা হইছে তোমার কর্মের ফল সব ওকে,,,আর আবির তাকে বিয়ে করছে যাকে সে ভালোবাসে,,,
নিয়াঃ বিয়ে তখনই করবে যখন তুমি থাকবে
তিথিঃ মানে?
নিয়া ছুরি একটা বের করে তিথির দিকে এগোতে থাকে,,,তিথি চিৎকার করে আবিরকে ডাকতে থাকে,,,
তিথিঃ আবিরররর
নিয়াঃ যত ইচ্ছে চিল্লাও তুমি লেউ শুনবে না কারণ আজ সবাই নাচ গান এই সবে এতো ব্যস্ত যে তোমার এই চিল্লানোতে কেউ আসবে না ওকে,,,
তিথির দিকে নিয়া এগোতে থাকে,,,তিথি আলমারির সাথে লেগে যায় যেতে যেতে পিছনে,,,চোখের সামনে একটা ফুলের টব দেখে অইটা ছুড়ে মারে নিয়ার দিকে হাত থেকে পড়ে যায় ছুরিটা তিথি নিয়াকে কষে একটা থাপ্পড় দেয় আর রেগে গিয়ে বলে উঠে
তিথিঃ কি ভেবেছিস হুম অবলা নারি আমি যাকে মারতে আসবি আর মেরে চলে যাবি আনি অই টাইপের মেয়ে একদম না ওকে আমি তিথি মনে রাখিস,,,আমার ব্যাপারে আশা করি ভালোই জানিস কারণ ভার্সিটিতে কি করেছি ভুলে গেছিস,,
নিয়াঃ তোর এতো সাহস আমার গায়ে হাত তুলার আজ তোকে আমি
তিথিঃ ছোট থেকে শখ ছিলো বউ সাজে মারামারি করবো ওয়াও এই ভাবে যে পূরন হবে ভাবতেই পারি নাই,,
তিথি নিজেকে বিজে সাব্বাসি দিয়ে রুমে’র চারদিকে খুজেতে থাকে কিছু আছে কি না দেখতে পায় ঝাড়ু,,আর কি মাথার ওড়না টা খুলে ঝাড়ু নিয়ে পিঠাতে থাকে নিয়াকে,,,আর বলে উঠে
তিথিঃ তোর জন্য আমি আমার লাইফ থেকে ৩ বছর হারিয়েছি,,আমার আবিরকে ভুল বুজেছি ঘৃনা করেছি,,শুধু মাত্র তোর জন্য আমার বেস্টু আমার থেকে দূরে গেছে হারিয়েছি আমি তোর জন্য আর তুই কি না আমাকে মারতে এসেছিস,,,
নিয়া উঠে দাঁড়াতে পারছে না,,কারণ সে কিছু টা দুর্বল মেডিকেল থেকে সোজা এখানে এসে যায়,,আর তিথিফ তো তিথি ইচ্ছে মত মারতে থাকে ঝাড়ু দিয়ে,,,
এই দিকে আওয়াজ পেয়ে সবাই রুমের বাহিরে এসে হাজির,,রিতুর ভয়ে কলিজা শুকিয়ে যাউ এই ভেবে তিথির কিছু হয় নাই তো,, তাড়াতাড়ি আবির আমানকে ডেকে আনে,,
আবিরঃ তিথি কি হইছে দরজা খুলো তুমি ঠিক আছো তো
মাঃ মেয়েটা ঠিক আছে কি না আল্লাহ জানে,,তিথি রে প্লিজ দরজা খুল মা তুই ঠিক আছিস তো
সবাই চিন্তিত হয়ে পড়ে,,অই সময় দরজা খুলে তিথি ঝাড়ু হাতে নিয়ে,, বউ সাজে তো অনেক কিউট লাগছে কিন্তু ঝাড়ু হাতে দেখে সবাই অবাক পুরো রাগে আগুন তিথি৷ পিছনে তাকিয়ে দেখে নিয়া,,,নিয়াকে দেখে সবাই অবাক হয় তখন তিথি সব খুলে বলে যে তাকে মারার জন্য নিয়া এখানে এসেছে, আবির তো ক্ষেপে যায় পুরো
বড় বাবাঃ পুলিশ কে কল দে ছোট এই মেয়ের এতো সাহস আমার বাড়িতে এসে আমার ঘরের বউকে মারতে এসেছে,,,
সবাই অনেক রেগে যায়,,,আবির নিয়ার কাছে গিয়ে বলে
আবিরঃ তুই কি জীবনে মানুষ হবি না?এতো বার বললাম আমার তিথি থেকে দূরে থাক আর তুই কি না,,,
আমানঃ কিছু মানুষকে জুতা দিয়ে মেরে ও বুজালে না অই যে বেহায়া টাইপের হয় তেমন সে,,
নিয়া রেগে আবিরের কলার চেপে ধরে বলে
নিয়াঃ তুমি শুধু আমার আবির শুধু আমার এই মেয়েকে আমি তোমায় পেতেই দিবো না,,,
তিথি গিয়ে কষে দেয় এক চড়,,,,
তিথিঃ আমার হাজবেন্ড এর কলার ধরার সাহস হয় কি করে হুম,,,
আবির তিথিকে সামলে নেয় কারণ তিথি যে পরিমান রেগে আছে,,আমান এসে তিথির হাত থেকে ঝাড়ু নিয়ে বলে
আমানঃ আর কি মারবে?
আবিরঃ আমান চুপ কর ফাজলামি
কিছু ক্ষন এর মধ্যে পুলিশ আসে নিয়াকে নিয়ে যায়,,,নিয়া যেতে যেতে বলে উঠে
নিয়াঃ আমি তোমাদের সুখে থাকতে দিবো না কখনো বুজলে তোমরা,,
আবিরঃ আমার তিথির গায়ে ফুলের টুকা ও লাগতে দিবো না ওকে,,নিজে জেল থেকে বের হয়ে দেখাইও তারপর না হয় ভাবিও
নিয়াকে পুলিশ নিয়ে যায়,,,পরিবেশ টা চুপচাপ
আমানঃ বাহা তিথি ওড়না রেখে ইচ্ছা মত তো মারলেই বাহা এমন বউ কে পায় আবির যে নিজের বিয়ের দিন বউ সাজে ঝাড়ু দিয়ে কাউকে এতো ধুলাই দেয়,,,ভাই ইতিহাস করলো আমাদের তিথি,,,,
সবাই হেসে দেয় বড় মা সবাই কে চলে যেতে বলে,,, রেশমি তিথিকে নিয়ে যায় রুমে ওড়না পড়িয়ে দেয়,,,রিতু তিথিকে স্টেজে এসে বসে,,,বাহিরে আমান আবির বাকি বর যাত্রীর মত ঢোল বাজিয়ে নাচ গানে আসে,,,,তিথির আর শুইছে না নিজের বিয়েতে নাচতে খুব ইচ্ছে করছে কিন্তু পারছে না বড় মা আর মায়ের মামানির ভয়ে,,
মেয়েরা গেটে দাঁড়ায় টাকার জন্য আজ রেশমি ও হয়ে যায় কনে পক্ষ টাকা নেওয়ার জন্য আমান আবিরকে ঢুকতেই দিচ্ছে না ভিতরে,,,জোর করে টাকা আদায় করে ছেড়েছে মেয়েরা,,,
কাজি সাহেব বর কনেকে আসতে বলে,,,তিথি আর রিতুকে এক পাশে বসায় আর তার অপর পাশে বসে আমান আবির,,তাদের মাঝে একটা লাল কাপড় থাকে লজ্জা মাখা মুখ রিতুর আর তিথির,,,কাজি সাহেব রিতুর আর আমানের বিয়ে আগে পড়ায় তারপর আবির আর তিথির,,, যখন কাজি সাহেব বলে
কাজি সাহেবঃ কত টাকা দেন মোহর?
আবিরের বাবাঃ এই সিদ্ধান্ত নিবে তিথি,,,
তিথিঃ কাজি সাহেব আমার দেন মোহর লাগবে না আমাকে দেন মোহর অলরেডি দিয়ে দিচ্ছে উনি
কাজি সাহেবঃ দেন মোহর মেয়েদের অধিকার,,,
তিথিঃজানি কাজি সাহেব কিন্তু আমি আমার অধিকার পেয়েছি,,, এতো কেয়ারিং একটা ফ্যামিলি শশুড় রুপে বাবা শাশুড়ি রুপে মা পরিবার এর চেয়ে বড় আর কি, যা আমাকে উনি দিয়েছে,,আমার সব চেয়ে বড় পাওনা তো আমি পেয়েই গেছি
সবাই খুশিতে অবাক তিথির এমন রুপে,,,মা চোখের পানি মুছে তিথির মাথায় হাত রাখে,,,,
তিথিঃ আমি আমার দেন মোহর মাফ করছি,,,
আবিরঃ কিন্তু আবির রহমান নাম আমার আমি দেন মোহর দিতে চাই যখনই তুমি চাইবে তা তুমি পেয়ে যাবে আমার কাছে পাওয়া তুমি ওকে
তিথিঃ জ্বি
কাজী সাহেব বিয়ে পড়াতে থাকে,,তিথিকে কবুল বলতে বলে
তিথিঃ কবুল কবুল কবুল
আবিরকে ও বলতে বলে
আবিরঃ কবুল কবুল কবুল
সবাইঃ আলহামদুলিল্লাহ
আবির তিথির বিয়েটা আবার হয়ে যায়,,,,হাজার ও বাঁধার পর,,,তিথি মুচকি হেসে আবিরের দিকে তাকায়,,,,কাবিন এর পর অন্য নিয়ম আছে তারা অইটাতে ব্যস্ত হয়ে যায়,,,