পর্বঃ১
সকাল বেলা কী শান্তিতে ঘুমাচ্ছিলাম তখনই আব্বুর ফোন।
—– হ্যা জিদান তাড়াতাড়ি করে একটু অফিসে আয় তো।
—– দরকার আছে আয় না বাবা।
—- আসতেছি।
( আমি জিদান, সবে মাত্র sscদিলাম, এখন সারাদিন কোনও কাজ নেই তাই নাক ডেকে ঘুমাই। বাবার একটা প্রাইভেট কোম্পানি আছে। আমার দুটো বোন আছে তাদের এখনো বিয়ে হয়নি)
—- কী আব্বু এতো জরুরী আমাকে অফিসে আসতে বলার কারন টা কী?
—- তোকে সব বলবো, আগে তুই আমার সাথে চল।
—- কই যাবো।
—- গেলেই দেখতে পারবি।
—- চলো তাহলে।
কিছুক্ষন পরে,,,,
—- একি আব্বু তুমি কাজী অফিসের সামনে গাড়ি দাড় করলা কেনও?
—- এমনি, চল ভিতরে যাই।
—-কিন্তু,,,,,,, (কথাটা শেষ করতে দিলো না)
—– চল আগে সব বলছি।
—- এইবার তো বলো ব্যাপারটা কী?
—- আসলে বাবা আমি আজকে তোকে বিয়ে করাবো.( বিশ্বাস করেন রাসেল ভাই আমার মাথা ঘুরতে লাগলো)
—- তোমার মাথা ঠিক আছে তো। কী বলছো একবার ভেবে দেখছো তুমি।
—- আমি যা বলছি ভেবে বলছি।
—- না আমি এ বিয়ে করবো না। তাছাড়া আমি এখনো Teenager ।
—- ওইটা কোনও ফ্যাক্ট না। আমি সব কিছু সামলিয়ে নিবো।
—- থাক তুমি এখানে আমি বাসায় গেলাম।
—- জিদান আমি তোর কাছে কোনও কিছু দাবি করিনি আজকে করলাম( একরকম হাত জোর করে)
—– কিন্তু হঠাৎ করে আমাকে বিয়ে দেয়ার কারন টা কী জানতে পারি।
—- আসলে আমার বন্ধু জাফর কে তো তুই চিনিস ওর একটা মাত্র মেয়ে। দেখতে অনেক সুন্দর,। একটা বখাটে ওকে বিয়ে করতে চাচ্ছে তাই এখন তোর সাথে বিয়ে দিবো যাতে বখাটে টা আর ওর কোনও ক্ষতি করতে না পারে।
—- পুলিশকে জানাও।
—- পুলিশকে জানিয়ে লাভ নেই। কারণ এতে মেয়েটার সম্মানহানী হতে পারে।
—– অন্য কারও সাথে বিয়ে দাও, আমাকে জোড় করছো কেনও।
—- কারন আমি আমার বন্ধুকে কথা দিছিলাম তোর সাথে প
ওর মেয়ের বিয়ে দিবো।
—– তোমরা এমন কেনও বলোতো,, বিয়ে করার আগেই কথা দাও কার ছেলের সাথে কার মেয়ের বিয়ের দিবে। আমাদের কী কোনও চয়েস থাকতে নেই নাকি।
—- একদিন তো তোকে ওর সাথে ই বিয়ে দিতাম এখন না নয় দিয়ে দিলাম।
—- আমি বিয়ে করতে পারি তবে কয়েকটি কন্ডিশন আছে।
—– কী বল।
—– ১।কারও কাছে বলতে পারবা না আমি বিয়ে করছি।(২) বাসায় জানাতে পারবা না,,(৩) আমি আমার মতো করে চলবো( ৪) বোনদের বিয়ে হবে তারপর আমি ওকে বাসায় নিবো।(৫) কেও জানবে না আমাদের বিয়ে হইছে।
—- ওকে সব মানলাম। কিন্তু তুই সিরিয়াস তো। কথা কিন্তু ঘুরাতে পারবি না।
—- হুম সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ডের পানি এক হয়ে গেলেও আমার কথা ঘুরবে না।
—- মনে থাকলেই হয়। পরে যেনও জারা কে দেখে কথা না ঘুরাস।
—- তোমার জারা নাকি ছাই ওই মেয়ের দিকে তাকাবো না।
—– হুু দেখা যাবে।
—– কতো সময় পরে আসবে তাড়া,, কখন থেকে বসে আছি।
—- চলে আসবে এখনি।
আমি তে বসে বসে ভাবতাছি। বলির পাঠা বানানোর জন্য আমাকেই পাইছে। কতো শান্তি
তে দিব কাটাচ্ছি। আমি এখনো রাস্তা দিয়ে কোন সাইডে হাটতে হবে তা জানি না, আর আমাকে বিয়ে দিতাছে। gf গুলোর কথা মনে করছি। ওদের এখন কী হবে। ধুর কী যে করি। সুখ মনে হয় আমার কপালে বেশি দিন থাকবে না। তাছাড়া লোকে শুনলে কী বলবে। এখনো তো আমার মনে হয় দুধের দাত পড়েনি। কই দেখি তো পড়ছে কিনা। মুখে হাত দিলাম,,
—- কিরে মুখে হাত ঢুকিয়ে বসে আছিস কেনও।
—– কই এমনি। কই তোমার বন্ধু।
—– এইতো চলে এসেছে।
বলেই আব্বু তার বন্ধুর দিকে এগিয়ে গিয়ে তার সাথে নাইচ টু মিট ইউ করলো।আর আমি অন্য দিকে তাকিয়ে আছি। না জানি কার সাথে আমার বিয়ে দিচ্ছে। তাই মাথাটা নিচু করে বসে রইলাম একটু পরে কাজীর কাছে গেলাম তখনো আমি মাথা নিচু করে বসে আছি। এমনকি কবুল টা বললাম ও মাথা নিচু করে দিয়ে। আমার বলি হয়ে গেলও। মনের ভেতর খারাপ লাগলো। এইবার যাওয়ার পালা। তাই দরজা দিয়ে বেরনোর সময় মাথা তুললাম তারপর যা দেখলাম তা দেখে মনে হয় আমি স্বপ্ন দেখতাছি।এইটা কী কোনও মেয়ে নাকি, অন্য কিছু কোনও মানুষ এতটা সুন্দর হয় কীভাবে। তার জন্য ই হয়তো বখাটের নজর পড়ে। না এইটা কোনও মেয়ে হতেই পারে না হয়তো কোনও পরি মাটিতে নেমে আসছে। হটাৎ দরজার সাথে ধাক্কা খেলাম। মেয়েটা ও আমার দিকে তাকিয়ে আছে। হয়তো ভাবছে কেনও আমাকে বিয়ে করলো। আমার তো আর সহ্য হচ্ছে না মনে হয় এখনই ওকে আমার সাথে করে বাসায় নিয়ে আসি, আর সব সময় আমার সামনে বসিয়ে রাখি।কিন্তু তা হবে না। একটু পরে গাড়িতে উঠলাম। আমি এখনো ওর কথা ভাবতেছি।
—- আচ্ছা আব্বু একটা কথা বলার ছিলো।
—- কি বলো।
—- তখন যে কথা বললাম ওই গুলো কি ভোলা যায় না।
—- না, তুই তো কথা ঘুরাস না। তাহলে আবার ভুলবো কেনও।
—- প্লিজ আব্বু,,,
—- না বাবা তা হচ্ছে না।
—- তুমি আগে বলবা তো এইটা তোমার বন্ধুর মেয়ে। আমাকে কোনও ছবি দেখাইতে পারতা।
—– হইছে এখন যা হবার তা হয়ে গেছে।
—- আব্বু তুমি আমার লক্ষি আব্বু,,,,,
—- না বাবা তা হচ্ছে না, আমি তোমার কন্ডিশন রাখবো না তা তো হয়না।
কী আর করবো, কেনও যে তখন ওই গুলো বললাম। ধুর একবার তো দেখার পরে বলতে পারতাম।
আব্বু আমাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে অফিসে চলে গেল। আমি বাসায় গিয়ো ভাবতেছি। এইটা কী হলো এতো তাড়াতাড়ি তো কোনও দূর্ঘটনা ওও ঘটে না।আচ্ছা মেয়ে টা কী সত্যি ওতো সুন্দর ছিলো নাকি আমার চোখের ভুল ছিলো। ভাবতে ভাবতে অনেক সময় পার করে ফেললাম। তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে বাইরে গেলাম। কিন্তু আমার কোনও কিছু ভালো লাগছে না। মনের ভিতর কেমন যেনও ঘুরপাক করতে লাগছে। কী কাজটা আমি করলাম। না এই বয়সে বিয়ে করলাম
।( আসলে এই বয়সটাই এমন, এই
যে সব বন্ধু মেনে নিলাম, একটু পরে আবার সেইটা নিয়ে আফসোস করি। যতক্ষন অবধি কোনও জিনিস কাছে থাকো ততক্ষণ তা ভালো লাগে)
কিছু ভালো লাগছে না তাই বাসায় চলে এলাম। রাতে কিছু খেলাম না, একবার ভাবছি মেয়েটার কথা আর একবার ভাবছি কী করলাম এইটা। আমার চুপ থাকা দেখে আপু এসে জিজ্ঞেস করলো চুপ থাকার কারন কী, আমি তাকে কিছু না বলে দরজা বন্ধ করে দিলাম। রাতে আব্বু আসলো। আম্মু আব্বু কে জিজ্ঞেস করলো আমি চুপ কেনও আব্বু বললো।,,,,,
চলবে,,,,,,,,,
(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং গল্পটি কেমন হয়েছে যানাবেন)
পর্বঃ ২
আমি চুপ কেনও আব্বু বললো।,,,,,
আমার নাকি একটা বাইক চাই তার জন্য মন খারাপ।
রাতে না খেয়ে শুয়ে পড়লাম। সকালে ঘুম ভাংলো অনেক দেরিতে। বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবছি, যা হইছে তা হয়তো ভালোর জন্য। এখন সব কিছু মেনে নেয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই। তাই সব কিছু মেনে নিলাম। কিন্তু কাওকে কিছু জানাবো না। হঠাৎ বড় আপু আসলো।,,,
—- কী হইছে রে ভাই তোর?
—- কিছু না।
—– কিছু না বললেই হলো কালকে থেকে তোর মন খারাপ দেখতাছি।
—- তুমি যাও তো আপু আমার ভালো লাগে না।
—- সকালের নাশতা খেতে আয়।
—- খাবো না তুমি যাও।
—- না খেয়ে দেখ কিছু একটা বানাইতে পারোস কিনা।
—- উফ বললাম তো আমার ভালো লাগে না।
—- কারও সাথে ঝগড়া হইছে নাকি। তাহলে আমাকে বলতে পারোস। আমি কাওকে বলবো না।
—- তুমি যাবে নাকি আমি বাইরে চলে যাবো।
তারপর আমি বাইরে চলে এলাম। বাইরে নাস্তা করলাম। তারপর বন্ধু দের সাথে আড্ডা দিয়ে দুপুরে বাসায় এলাম।
—- কী হইছে তুই এভাবে চলা ফেরা করোস কেনও?( ছোট আপু)
—- কিভাবে করলাম।
—- আগে তো কতো চটপট ছিলি এখন এমন গোমরা হয়ে গেলি কেনও?
—- আজব তো আমি তো আগের মতোই আছি।
—- না একদম নেই। কী হইছে সেটা বল।
—- কিছু না। আর তোমরা সবাই কিছু দিন ধরে আমার পিছু পড়ছো কেন বলোতো।
কথা গুলো বলে রুমে চলে এলাম। গোসল করে বিছানায় শুয়ে ফেসবুকিং করতাছি। হঠাৎ ওই মেয়ে টা মানি আমার ইয়ের মতো দেখতে একটা মেয়ে কে দেখলাম। তাই নেট থেকে বের হয়ে গেলাম। তারপর জারা র কথা ভাবতে লাগলাম। না মেয়ে টা তো মন্দ না। একবার তো কথা বলা যেতেই পারে। যে করে হোক ওর নাম্বার টা জোগাড় করতে হবে।।
সন্ধায় আব্বু বাসায় এলো, একি সাথে তো দেখি জাফর আংকেল ও আছে। আমি সোফায় বসে টিভি দেখছি। আম্মু আব্বু কে বললো,,,,
—- ছেলেটা সারা দিন মন খারাপ করে বসে থাকে যা চাইছে তা দিলেই তো পারো।
—- ওইসব আমি দেবো না। একটা মাত্র ছেলে তারপর কোনও এক্সিডেন্ট ঘটলে
।( আদৌও কিন্তু আমি বাইক চাইনি)
—- কি চাচ্ছে ভাবি ( জাফর আংকেল)
—- আর বইলেন না ভাই ছেলেটা নাকি একটা বাইক চাচ্ছে কিন্তু দিচ্ছে না।
—- কী জিদান সত্যি নাকি
—- ( আমি কিছু বললাম না)
—– হ্যা ভাই কালকে থেকে ছেলেটা আমার মন মরা হয়ে বসে আছে ( আম্মু)
—- ওহহ তাহলে ইকবাল ( আমার আব্বু) একটা বাইক কিনে দিলেই তো পারোস।
— আমি দেখতাছি।
তারপর আব্বু আর আংকেল আব্বুর রুমে চলে গেলো।
শালা আমি বাঁচি না আমার জ্বালায় আর এরা আমাকে বাইক দিচ্ছে। ওরে আগেই তো বাশ একটা দিলি। এখন আবার বাইক। ভালোই। হঠাৎ আমার চোখ পড়লো টেবিলে, একি এটা তো আংকেলর মোবাইল হয়তো এখানে ভুলে রেখে গেছে। যাক আমার জন্য ভালোই হইছে। অন্তত জারার নাম্বার টা নিতে পারবো।
মোবাইল টা হাতে নিয়ে অনেক ঘাটাঘাটি করলাম কিন্তু জারার নাম্বার পেলাম না। হঠাৎ দেখলাম প্রিন্সেস নাম দিয়ে একটা নাম্বার সেভ করা, একটু মাথা টা খাটালাম, জারা তো দেখতে প্রিন্সেসের থেকে কিছু কম না তাই হয়তো এই নাম দিয়ে নাম্বার সেভ করছে। তারপর আমার কাজ টা সেরে নিলাম। নাম্বারে একটা পিক তুলে রুমে চলে গেলাম। ফোন দিবো নাকি মেসেজ করবো,, না একটা মেসেজ করি আগে,,,
—- হাই কিউটের ডিব্বা।
—-চিনলাম না।
—– তুমি আমাকে চিনবে না।
—- না চিনলে কথা বলার কি দরকার।
—- তোমার দরকার না থাকতে পারে কিন্তু আমার তো দরকার আছে।
—- আপনের জতোই দরকার থাকুক না কেনও আমি কিছু করতে পারবো না।
( দেখি তো কোনও bf আছে কিনা)
—- আমি তোমার bf বলতাছি।
—- সরি আমি কোনও দিন কারও সাথে প্রেম করিনি। আর আমার কোনও bf ও নেই।
—- তাহলে হয়ে যাবে।
—- না সেটাও হবে না।
— কেনও কেনও?
—- কারন আমার বিয়ে হয়ে গেছে।
( যাক তাহলে সে বিয়েটা কে মানছে)
—- কবে?
—- পরশু দিন।
—- ওহহ আচ্ছা সরি।
—- ইটস ওকে বাই।
ভালোই লাগলো। তার মানে জারার আগে কোনও bf ছিলো না।আর বিয়েটা ও মেনে নিছে।
কিন্তু আমি তো একবার মানছি আর একবার মানছি না। ধ্যাত আমার মনটা কে স্থির করতে হবে। আজকে আমি অনেক আনন্দিত। সবার সাথে আগের মতো কথা বলছি।
পরের দিন সকালে,,,
—- জিদান একটু নিচে আসো তো( জাফর আংকেলের ফোন)
—- ওকে আংকেল আসতেছি।
তারপর নিচে গেলাম।
—- জিদান এই নাও চাবি, এইটা আমার পক্ষ থেকে তোমার জন্য ছোট্ট একটা গিফট।
( জীবনে তো আমার জন্য একটা চকলেট নিয়ে কখনো আমার বাসায় আসো নাই আর আজকে মেয়ের জামাই বানানোর পরে R15 v3 গিফট করছো, যাক ভালোই হলো তোমার মেয়েকেই তো পিছনে বসাবো)
—- কী জিদান কী ভাবছো।
—- কিছু না আংকেল। আমার আব্বু আমাকে বাইক দিলো না তুমি দিলা( একেই বলে ইমোশনালি পাম)
—- আরে বাবা আমি তো এখন তোর আরেকটা বাবা।
— চুপ আস্তে, বাসায় কিন্তু কেও জানে না।
—- ওকে বাবা।
—- থ্যাংকু আংকেল।
—- আরে বেটা ধন্যবাদ দিতে হবে না, বাইকে পুরো ১০ লিটার ফুয়েল আছে রাইডিং কর।
— আচ্ছা আংকেল বাই।
তারপর বাইক নিয়ে সোজা বন্ধু দের মাঝে চলে এলাম।
—- কী মামা নিউ বাইক( সাকিব)
—- দেখতেই তো পারোস।
—- হুম দেখতাছি।
—- তা কবে কিনলি( আসিফ)
— আমি কিনি নাই রে মামা।
—- তহলে কী চুরি করলি নাকি( সাকিব)
—- না।
—- তাহলে?
—- আমার শশুড়ে গিফট করছে।
—- ধুর ফাজলামো করোস।
—- যেইটা ভাবোস
—- চল না মামা ঘুরে আসি।
—- আমার পিছনে শুধু আমার বউকে বসাবো তাই তোদরে তুলতে পারবো না।
—- থাক তুলতে হবে না ( সবাই মন খারাপ করে)
—- কিন্তু একজন একজন করে চালাতে পারবি।
—- ঠিক আছে।
—- তোর চালানো শেষ হলে আসিফ কে দিবি। কিন্তু দুইজন একসাথে উঠতে পারবি না।
—- ওকে ভাই।
—- ওকে তাহলে চালানো শেষ হলে বাসায় দিয়ে আসিস। আর মনে থাকে যেনও পিছনে কাওকে বসাবি না, ওইটা আমার বউয়ের জন্য বুকিং।
— ওকে মামা তুমি যাও।
তারপর আমি বাসায় চলে এলাম। দুপুরে হালকা একটু খেলাম। তারপর ছাদে গেলাম। আমার একটা বদ অভ্যাস আছে, সিগারেট খাই। জারা কে একটা ফোন দেই,,,,,,
—– কে বলছেন।
—- একটা মানুষের কন্ঠ এতো মিষ্টি হয় কিভাবে।
—- কিসের জন্য ফোন দিছেন তা বলেন।
—- এমনি। মিস্টও ভয়েস টা শুনতে ইচ্ছে করলো তো তার জন্য।
—- দেখেন ফাজলামো রাখেন।
—- ওকে রাখলাম।
—- হুম এবার বলেন আপনি কে?
—- আমি জিদান।
—- কোন জিদান
( লে খোকা জামাইয়ের নাম জানে না)
—- সত্যি কী আপনি আমাকে চিনেন নি?
—- না।
——- আপনের কী বিয়ে হয়ে গেছে।
—- হুম কিন্তু কেনও?
—– আপনের জামাইয়ের নাম কী?
—– জানি না,,
—- বিয়ে হইছে আর জামাই এর নাম জানেন না।
—- তার সাথে আমার কথা হয়নি এখনো। তাই জানি না।
— কিন্তু এখন তো তার সাথে কথা বলে ফেললেন।
—- কীহ!!!!!!!
—– হুম। আপনের সাথে কাজী অফিসে দেখা হলো। আমি সে।
ওপাশ থেকে কোনও কথা শুনতে পেলাম না।
তারপর,,,,,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,
(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং গল্পটি কেমন হয়েছে যানাবেন)
নামজ কায়েম করুন ।
আল্লাহ হাফেজ ।
Your article helped me a lot, is there any more related content? Thanks!