আমাদের সঙ্গে একজন আবেগী ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি
তোকে ভালোবাসার অনেক কারণ ছিল । তাই তোকে ভালোবাসতাম ও ওনেক । তাই তোকে হারানোর অনেক ভয় পেতাম । আর পাওয়ার ও কথা, কারণ তোকে আমি টাইপ পাস নয় আমার জীবন ভেবেছিলাম । কিন্তু তুই সেই স্বপ্ন নিমেষেই নষ্ট করে দিলি । যদি অন্য কাউকে এতো ভালোবাসতিস সেটা বলতেই পারতিস, আমার জীবন নিয়ে খেললি কেন । কী ভুল ছিল আমার ?
- ফ্রিল্যান্সিং কি?কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো?
- ক্রাশ এর সাথে প্রেম
- অসম্পূর্ণ ভালোবাসা | ছোঁয়া লেগেছিল মাএ
- হুমায়ূন আহমেদ স্যারের এর কিছু মজার উক্তি
- সে এসেছিল ,হারিয়ে যেতে – তানিয়া ত্বোহা
তোকে হারানোর ভয় পেতাম তাই তোকে এতো আকলে রাখতাম তাই নাকি তোকে আমার জীবনের থেকে বেশি ভালোবেসেছিলাম তাই ? তুই নতুন জনের কাছে খুব ভালো আছিস তো ? তোদের মধ্যে ঝগড়া হয় না তো ?
আমি সব জানি, তোদের সম্পর্ক কেমন চলছে ! তুই আমার খোঁজ না নিলেও আমি কিন্তু তোর খোঁজ প্রায়ই নি । কাউকেই আপন করে রাখতে পারলি না । মন দিয়ে কাউকে ভালোবাসতেও পারলি না ।
আমি তোকে মন থেকে ভালোবেসেছিলাম আর এখনও বাসি । কিন্তু সেই ভালোবাসার তোর কোনো অধিকার নেই । আমি দেখিয়ে দিতে চাই কীভাবে ভালোবাসতে হয় । আমি তোর মতন নই রে যে breakup এর পরের দিন অন্য আরেক জনের সাথে নতুন প্রেমের খেলা খেলব !
কাউকে যদি ভালোবাসিস তাহলে মন থেকে ভালোবাসিস । আমি আগেও চাইতাম তুই ভালোথাক আর এখনও চাই ।
ভালোবাসা শব্দটি কেবল একটি অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং এটি এক অদ্ভুত জটিলতা, যেখানে মনের গভীরতম অংশ থেকে আসে আবেগ, প্রতিশ্রুতি, এবং অন্তরঙ্গতা। ভালোবাসা এমনই এক বন্ধন যা মানুষকে অপরের প্রতি আকৃষ্ট করে, তার সঙ্গে সম্পূর্ণ জীবন কাটানোর ইচ্ছা জাগায়। প্রেমের এই বন্ধনে থাকে নিঃস্বার্থ স্নেহ, বোঝাপড়া, এবং অপরকে ছাড়িয়ে নিজেকে সঁপে দেওয়ার এক আকাঙ্ক্ষা।
মানুষের মনোজগতে প্রেমের উপস্থিতি বরাবরই প্রভাবশালী। এটি এমন এক অদৃশ্য শক্তি, যা আমাদের অনুভূতির জগৎকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। প্রেমের মধ্যে যেমন থাকে আকর্ষণ, তেমনই থাকে আস্থা, সমর্পণ, আর সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি। তবে প্রেমের ভিন্ন ভিন্ন রূপও রয়েছে, আর সেগুলিকে গভীরভাবে বোঝার জন্য স্টার্নবার্গের ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা হতে পারে।
স্টার্নবার্গের ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব আমাদের বলে, প্রেমের তিনটি মূল উপাদান রয়েছে—লালসা, আবেগ এবং প্রতিশ্রুতি। প্রথমত, লালসা হলো শারীরিক আকর্ষণ যা আমাদেরকে প্রেমের শুরুতে আকৃষ্ট করে। এটি সেই ঘনীভূত উত্তেজনা, যা সম্পর্কের মূলভিত্তি তৈরি করে। দ্বিতীয়ত, আবেগ হলো সেই অন্তরঙ্গ সংযোগ, যা একজন প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে হৃদয়ের বন্ধন গড়ে তোলে। এই আবেগ আমাদের মনোজগতের সবচেয়ে গভীর স্তরে গেঁথে যায়। তৃতীয়ত, প্রতিশ্রুতি হলো সেই মানসিক বন্ধন, যা প্রেমকে সময়ের পরীক্ষায় টিকিয়ে রাখে। এটি সেই প্রতিশ্রুতি যা মানুষকে একে অপরের পাশে থাকতে উদ্বুদ্ধ করে, যে কোনও পরিস্থিতিতেই সম্পর্ককে ধরে রাখার শপথ নেয়।
এই ত্রিকোণ সম্পর্কই মূলত আমাদের জীবনের পূর্ণ প্রেম এর ধারণা দেয়। পূর্ণ প্রেম কেবল আকর্ষণ বা আবেগের উপর নির্ভর করে না, এটি নির্ভর করে সম্পর্কের প্রতিটি স্তরে স্থায়ী প্রতিশ্রুতি।
তবে শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতিই নয়, সম্পর্কের সঠিক পরিচালনার জন্য প্রয়োজন বোঝাপড়া, সমঝোতা এবং মনের মিল। একটি সম্পর্ককে সফল করতে হলে, আমাদের নিজেদের আবেগগুলোকে সঠিকভাবে বুঝতে হবে। অনেক সময় আমরা নিজেদের অনুভূতির মধ্যে এমনভাবে আটকে যাই, যা আমাদের সম্পর্ককে খারাপভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
প্রেমের তত্ত্ব থেকে শুরু করে বাস্তব জীবনে আমাদের প্রত্যেকের সম্পর্ক এক একরকম। কিন্তু প্রতিটি সম্পর্কের মধ্যেই থাকতে হবে ভালবাসার প্রতিশ্রুতি। এই প্রতিশ্রুতি হল এমন এক অঙ্গীকার, যা কেবল একজনের প্রতি নয়, বরং সম্পর্কের প্রতি সম্মান এবং দায়িত্বশীলতার প্রতিফলন। যখন আমরা কাউকে ভালবাসি, তখন সেই ভালোবাসাকে ধরে রাখার জন্য আমরা নিজেদের মধ্যে প্রতিদিন নতুন প্রতিশ্রুতি করি—আর সেটাই সম্পর্ককে দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে।
এখন আসা যাক সম্পর্কের আরও গভীরতম স্তরে। প্রতিটি সম্পর্কের ভিন্ন ভিন্ন স্তর রয়েছে। প্রথমত, সম্পর্কের শুরুর দিকে লালসা সব থেকে শক্তিশালী। এটি সেই সময় যখন আকর্ষণ এবং উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। সম্পর্কের এই সময়টি অত্যন্ত রোমাঞ্চকর এবং চিত্তাকর্ষক। তবে এই স্তরটি দীর্ঘস্থায়ী নয়। সময়ের সাথে সাথে আবেগ এবং প্রতিশ্রুতি সম্পর্কের মূলভিত্তি হয়ে ওঠে।
প্রেমের তিনটি স্তর—লালসা, আবেগ এবং প্রতিশ্রুতি—প্রতিটি সম্পর্কের ভিতকে শক্তিশালী করে তোলে। একটিমাত্র স্তরের উপর ভিত্তি করে সম্পর্ক দাঁড়াতে পারে না; একে অপরের প্রতি আবেগের সঙ্গে প্রতিশ্রুতি যোগ হলে তবেই সম্পর্কটি দীর্ঘস্থায়ী এবং পূর্ণতা পায়। সম্পর্ককে সফল করার জন্য কেবল একতরফা আকর্ষণ যথেষ্ট নয়, বরং তার সঙ্গে থাকা আবেগ এবং প্রতিশ্রুতির মেলবন্ধনই সম্পর্কের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।
সম্পর্কে অনেক সময় এমন পরিস্থিতি আসে যখন প্রতিশ্রুতির ভিত্তি নড়ে যায়। তখন প্রয়োজন হয় সম্পর্ককে পুনর্গঠন করার। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো একে অপরের অনুভূতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং বোঝাপড়া তৈরি করা। ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি কোনও একদিনের বিষয় নয়; এটি প্রতিদিনের অভ্যাস, যা সম্পর্কে গভীরতা এবং স্থায়িত্ব আনে।
একটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে সাময়িক সমস্যার সম্মুখীন হওয়া স্বাভাবিক। তবে এর মানে এই নয় যে সম্পর্কটি ভেঙে যেতে চলেছে। বরং এই সময়টাতে সম্পর্ককে আরও গভীরভাবে মূল্যায়ন করা উচিত। সম্পর্কের যেকোনো সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে নিজেদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা করা প্রয়োজন। একে অপরের মতামত শোনা এবং সেই অনুযায়ী সম্পর্কের উন্নয়ন করা যায়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, প্রেমের শুরুতে সম্পর্কের প্রতি আকর্ষণ খুব বেশি হলেও সময়ের সাথে সাথে সেই আকর্ষণ ফিকে হয়ে আসে। এটাই হয়তো প্রেমের স্বাভাবিক গতি। তবে এই সময়টাতে সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সম্পর্কের প্রতি এই প্রতিশ্রুতিই মানুষকে একে অপরের পাশে থাকতে সহায়তা করে।
আবেগ আর প্রতিশ্রুতি এই দুইয়ের মিশ্রণে তৈরি হয় একটি সম্পর্কের প্রকৃত ভিত। প্রেমের মাঝে যেমন থাকে আনন্দ, তেমনই থাকে বেদনা। কিন্তু সেই প্রতিটি অনুভূতিই আমাদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করে তোলে।
Thanks for sharing. I read many of your blog posts, cool, your blog is very good.