25 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলা উক্তি – প্রেমের উক্তি

akhi akter

25 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলা উক্তি – প্রেমের উক্তি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তি আমাদের জীবনের বিভিন্ন দিককে আলোকিত করে। তার প্রেমের উক্তি গুলি আমাদের হৃদয়কে গভীরভাবে স্পর্শ করে। তিনি বলেছিলেন, “প্রেম এমন একটি বস্তু, যা না থাকলে জীবন বৃথা হয়ে যায়।” এই উক্তি আমাদের প্রেমের প্রকৃতির গভীরতা বুঝতে সাহায্য করে। ঠাকুরের প্রেমের উক্তি গুলি সবসময়ই প্রাসঙ্গিক এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও অর্থবহ হয়ে ওঠে।

রবীন্দ্রনাথের উক্তি শুধুমাত্র প্রেমের উক্তি নয়, জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে। “যেখানে মনুষ্যত্ব নেই, সেখানে প্রেম থাকতে পারে না।” এই উক্তি আমাদের মনুষ্যত্বের গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়। ঠাকুরের লেখা গুলি আমাদের জীবনের প্রতিটি ধাপে প্রেরণা যোগায়।

রবীন্দ্রনাথের উক্তি এবং প্রেমের উক্তি গুলি আমাদের বাংলা সাহিত্যের অমূল্য রত্ন। তার প্রতিটি শব্দে যেন জাদু লুকিয়ে আছে। আমাদের জীবনে তার উক্তি গুলি প্রতিদিনের চিন্তাধারাকে নতুন দিশা দেখায়। প্রেমের উক্তি গুলির মাধ্যমে তিনি প্রেমের মহিমা তুলে ধরেছেন, যা আজও আমাদের মুগ্ধ করে। তার উক্তি গুলি আমাদের প্রতিদিনের জীবনে আশার আলো ছড়ায়।

প্রতি মানুষের জীবনের সমস্ত কাজ তুমি রাশীকৃত করে পরীক্ষা করে দেখো, দেখবে, যে খনিতে জন্মেছে তার গায়ে তার মাটি লেগে থাকবেই থাকবে।

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

প্রথমে যেটি একটি উদ্দেশ্যের উপায় মাত্র থাকে, মানুষে ক্রমে সেই উপায়টিকে উদ্দেশ্য করিয়া তুলে। যেমন টাকা নানাপ্রকার সুখ পাইবার উপায় মাত্র, কিন্তু অনেকে সমস্ত সুখ বিসর্জন দিয়া টাকা পাইতে চান।

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মানুষের মধ্যে দ্বিজত্ব আছে; মানুষ একবার জন্মায় গর্ভের মধ্যে, আবার জন্মায় মুক্ত পৃথিবীতে। …মানুষের এক জন্ম আপনাকে নিয়ে, আর-এক জন্ম সকলকে নিয়ে।

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

পরের শত শত ভুল জড়ভাবে মুখস্থ করিয়া রাখার চেয়ে সচেষ্টভাবে নিজে ভুল করা অনেক ভালো। কারণ, যে চেষ্টা ভুল করায় সেই চেষ্টাই ভুলকে লঙ্ঘন করাইয়া লইয়া যায়।

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আমাদের হৃদয়-গত সত্য-সকল “কেন”-কে বড়ো একটা কেয়ার করে না। যুক্তির একটা ব্যাকরণ আছে, অভিধান আছে, কিন্তু আমাদের রুচির

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সৌন্দর্যজ্ঞানের আজ পর্য্যন্ত একটা ব্যাকরণ তৈয়ারি হইল না। তাহার প্রধান কারণ, সে আমাদের হৃদয়ের মধ্যে নির্ভয়ে বাস করিয়া থাকে – এবং সে দেশে “কেন

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

প্রত্যেক মানুষেই আছে একজন আমি, সেই অপরিময় রহস্যের অসীম মূল্য জোগায় ভালোবাসায়। অহংকারের মেকি পয়সা তুচ্ছ হয়ে যায় এর কাছে। …

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সাধারণকেই অসাধারণ করে আবিষ্কার করে ভালোবাসা। শাস্ত্রে বলে, আপনাকে জানো। আনন্দে আপনাকেই জানি আর-একজন যখন প্রেমে জেনেছে আমার আপনকে।

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ফাঁকি তো বরাবর চলে না। দাম দিতেই হবে। নইলে বিধাতা সহ্য করেন না – দীর্ঘকাল ধরে প্রতিদিন সৌভাগ্যের ঋণ শোধ করতে হয়, তবেই স্বত্ব ধ্রুব হয়ে ওঠে।

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বিনয় একটা অভাবাত্মক গুণ। আমার যে অহংকারের বিষয় আছে এইটে না মনে থাকাই বিনয়, আমাকে যে বিনয় প্রকাশ করিতে হইবে এইটে মনে থাকার নাম বিনয় নহে।

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মানুষ এক দিকে মৃত্যুর অধিকারে, আর-এক দিকে অমৃতে; এক দিকে সে ব্যক্তিগত সীমায়, আর-এক দিকে বিশ্বগত বিরাটে। এই দুয়ের কোনোটাকেই উপেক্ষা করা চলে না।

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

নিজের কাছে নিজের শোকের একটি অভিমান আছে। এত তীব্র বেদনাও যে কোনো চিরসত্যকে বহন করে না সে কথাটাকে আমরা সান্ত্বনাস্বরূপে গ্রহণ করি নে, তাতে আমাদের দুঃখের অহংকারে আঘাত লাগে।

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ধর্ম যারা সম্পূর্ণ উপলব্ধি না করিয়া প্রচার করিতে চেষ্টা করে তহারা ক্রমশই ধর্মকে জীবন হইতে দূরে ঠেলিয়া থাকে। ইহারা ধর্মকে বিশেষ গন্ডি আঁকিয়া একটা বিশেষ সীমানার মধ্যে আবদ্ধ করে।

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ছোট ছোট মুখ জানে না ধরার দুখ, হেসে আসে তোমাদের দ্বারে। নবীণ নয়ন তুলি কৌতুকেতে দুলি দুলি চেয়ে চেয়ে দেখে চারিধারে।

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

যৌবনের শেষে শুভ্র শৎরকালের ন্যায় একটি গভীর প্রশান্ত প্রগাঢ় সুন্দর বয়স আসে যখন জীবনের শেষে ফল ফলিবার এবং শস্য পাকিবার সময়।

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

হঠাৎ একদিন পূর্ণিমার রাত্রে জীবনে যখন জোয়ার আসে, তখন যে একটা বৃহৎ প্রতিজ্ঞা করিয়া বসে জীবনের সুদীর্ঘ ভাটার সময় সে প্রতিজ্ঞা রক্ষা করিতে তাহার সমস্ত প্রাণে টানে পড়ে।

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস, ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস। নদীর ওপার বসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে; কহে, যাহা কিছু সুখ সকলি ওপারে।

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

যুক্তির একটা ব্যাকরণ আছে, অভিধান আছে, কিন্তু আমাদের রুচির অর্থাৎ সৌন্দর্যজ্ঞানের আজ পর্য্যন্ত একটা ব্যাকরণ তৈয়ারি হইল না। তাহার প্রধান কারণ, সে আমাদের হৃদয়ের মধ্যে নির্ভয়ে বাস করিয়া থাকে –

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

চিরকাল কোন্‌ জিনসটা থাকবে না – থাকবে তা কেউ বলতে পারে না এবং আমিও সে সমন্ধে কোনোরকম তর্কবিতর্ক করতে চাই নে – নিজের মনের ভিতরে যখন একটা সফলতার আনন্দ অনুভব করা যায় সেইটেই লেখকের পক্ষে যথার্ত অমরতা। দুর্ভাগ্যক্রমে সে আনন্দ খুব ভালো লেখক থেকে খুব খারাপ লেখক পর্য

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

পৃথিবীতে বালিকার প্রথম প্রেমেরমত সর্বগ্রাসী প্রেম আর কিছুই নাই। প্রথম যৌবনে বালিকা যাকে ভালোবাসে তাহার মত সৌভাগ্যবানও আর কেহই নাই। যদিও সে প্রেম অধিকাংশ সময় অপ্রকাশিত থেকে যায়, কিন্তু সে প্রেমের আগুন সব বালিকাকে সারাজীবন পোড়ায়।

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আমার প্রিয়তম জীবন, আমি জানি তুমি চিরকাল আমার নও; কিন্তু এই মুহূর্তের জন্য হলেও আমাকে ভালোবাসো। এর পর আমি সেই বনে উধাও হয়ে যাব যেখানে তুমি আমাকে ফেলেছ, আমি আর কারো কাছে কিছু চাইব না। আমাকে এমন কিছু দিন যা আমার মৃত্যু পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সহজ মানুষের সত্যটি সামাজিক মানুষের কুয়াশায় ঢেকে রেখে দেয় । অর্থাৎ আমরা নানা অবান্তর তথ্যের অস্বচ্ছতার মধ্যে বাস করি । শিশুর জীবনের যে সত্য তার সঙ্গে অবান্তরের মিশেল নেই । তাই, তার দিকে যখন চেয়ে দেখবার অবকাশ পাই তখন প্রাণলীলার প্রত্যক্ষ স্বরূপটি দেখি ; তাতে সংস্কারভারে পীড়িত চিন্তাক্লিষ্ট মন গভীর তৃপ্তি পায় ।” —— পশ্চিম-যাত্রীর ডায়ারি

-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

কবিদিগকে আর কিছুই করিতে হইবে না , তাঁহারা কেবল সৌন্দর্য্য ফুটাইতে থাকুন —জগতের সর্ব্ত্র যে সৌন্দর্য্য আছে তাহা তাঁহাদের হৃদয়ের আলোকে পরিস্ফুট ও উজ্জ্বল হইয়া আমাদের চোখে পড়িতে থাকুক , তবেই আমাদের প্রেম জাগিয়া উঠিবে, প্রেম বিশ্বব্যাপী হইয়া পড়িবে ।

-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

জ্ঞানে প্রেমে অনেক প্রভেদ । জ্ঞানে আমাদের ক্ষমতা বাড়ে , প্রেমে আমাদের অধিকার বাড়ে । জ্ঞান শরীরের মত , প্রেম মনের মত । জ্ঞান কুস্তি করিয়া জয়ী হয় , প্রেম সৌন্দর্য্যের দ্বারা জয়ী হয় । জ্ঞানের দ্বারা জানা যায় মাত্র , প্রেমের দ্বারা পাওয়া যায় । জ্ঞানেতেই বৃদ্ধ করিয়া দেয় , প্রেমেতেই যৌবন জিয়াইয়া রাখে । জ্ঞানের অধিকার যাহার উপরে তাহা চঞ্চল , প্রেমের অধিকার যাহার উপরে তাহা ধ্রুব । জ্ঞানীর সুখ আত্মগৌরব-নামক ক্ষমতার সুখ , প্রেমিকের সুখ আত্মবিসর্জ্জন-নামক স্বাধীনতার সুখ ।

-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

পৃথিবীর চারি দিকে দেয়াল , সৌন্দর্য্য তাহার বাতায়ন । পৃথিবীর আর সকলই তাহাদের নিজ নিজ দেহ লইয়া আমাদের চোখের সম্মুখে আড়াল করিয়া দাঁড়ায় , সৌন্দর্য্য তাহা করে না —সৌন্দর্য্যের ভিতর দিয়া আমরা অনন্ত রঙ্গভূমি দেখিতে পাই ।

-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ছেলে যদি মানুষ করিতে চাই , তবে ছেলেবেলা হইতেই তাহাকে মানুষ করিতে আরম্ভ করিতে হইবে , নতুবা সে ছেলেই থাকিবে , মানুষ হইবে না । শিশুকাল হইতেই কেবল স্মরণশক্তির উপর সমস্ত ভর না দিয়া সঙ্গে সঙ্গে যথা পরিমাণে চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তির স্বাধীন পরিচালনার অবসর দিতে হইবে ।

-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Leave a comment