দু:খ-দূর্দশা আল্লাহ তায়ালার একটা বিশেষ নিয়ামত। প্রত্যেকটি ব্যক্তির কোনো না কোন কিছুতে দুঃখ রয়েছে। কেউ নিজেকে কোনো দিন সুখী দাবি করে না। প্রতিটি ব্যক্তি কোনো না কোনো দিক দিয়ে নিজেকে ছোট করে দেখে। আপনি যদি নিজেকে ছোট করে দেখেন কিংবা আপনি আপনাকে নিয়ে প্রশ্ন করেন তাহলে আপনি হবেন অকৃতজ্ঞ বান্দা। আপনার মত কোপাল পোড়া এই পৃথিবীতে আর কেউ নাই, তবে আপনি যদি আপনাকে নিয়ে সুখী থাকেন আপনি হবে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ বান্দা। এরপরও একজন বান্দা হিসেবে আমাদের আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে হবে। আল্লাহ তো শুধু ভোগ-বিলাস করার জন্য সৃষ্টি করেন নাই, আপনার দ্বারা আল্লাহ কিছু করিয়ে নিবেন এই জন্য তো আল্লাহ আপনাকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ আপনার কাছে কিছু চাচ্ছেন। যার দ্বারা আপনি আল্লাহর নিকট প্রিয় হন।
যারা প্রকৃত মুমিনরা তারা সব সময় সুখী থাকে। দুনিয়ায় দুঃখ কষ্ট কিছু সময়ের জন্য আসলেও তারা তাতে সন্তুষ্ট থাকে। কষ্টকে আল্লাহ তায়ালার নিয়ামত মনে করে, তাই তারা কষ্ট আসার পরেও সুখী। কারণ তারা জানেন তাদের জন্য এই কষ্ট পরীক্ষামূলক তাই তারা ধৈর্য ধরেন।
আল্লাহ আমাদের তো পরীক্ষা করবেন সেটা বিভিন্ন উপায়ে কাউকে অধিক স্বাস্থ দিয়ে আবার কাউকে অধিক সম্পদ দিয়ে কিংবা কাউকে সুখ দিয়ে বা কাউকে কষ্ট দিয়ে। কিন্তু আমরা জানি না এর মাঝেই কল্যাণ ঘুরে বেড়ায় আর সেটা আমরা নিতে পারি না। আমাদের কাছে দুঃখ কিংবা কষ্ট আসলে উলটে আমরা আল্লাহকেই দোষারোপ করি। তাকে আসামী করি। আল্লাহুমাগফিরলি (হে আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন) তাহলে আমাদের কল্যাণ আসবে কি করেন। আমরা ভুলেই যাই আমরা তার বান্দা আমরা তার গোলাম। সব সময় আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে কোন পরিস্থিতিতেই আল্লাহ তায়ালাকে দোষারোপ করা যাবে না। নিয়ামত মনে করে সেই সময় ধৈর্য ধারণ করতে হবে আর প্রকৃত মুমিনরা তাই করে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন। আমাদের প্রকৃত মুমিন হিসেবে কবুল করুন (আমিন)
কলমেঃ ইসরাক আবিদ
Can you be more specific about the content of your article? After reading it, I still have some doubts. Hope you can help me.